বিসিবি থেকে জানা গেছে, বিমানসেবা চালু থাকলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হোম সিরিজ নির্ধারিত সময়ে হবে। তবে করোনা পরিস্থিতি জটিল রূপ ধারণ করলে এবং বিমানের রুটগুলো বন্ধ হয়ে গেলে বিকল্প ভাবতে হবে সিডব্লিউআইকে। এ ব্যাপারে বিসিবি সিইও নিজামউদ্দিনের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, 'নিউ নরমাল সময়ে সবকিছুর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। বিমান চলাচল না করলে কারও পক্ষেই এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাওয়া সম্ভব হবে না। স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ডের চারজন ক্রিকেটার বায়োসিকিউর বাবলের ভেতরে করোনা পজিটিভ হওয়ায় সিরিজ স্থগিত করতে হয়েছে। নিউ নরমাল সময়ের এই বাস্তবতা মেনে নিয়েই ক্রিকেটের কার্যক্রম চালাতে হবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড সফরের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি রেখেছে। আমরা আশাবাদী পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে নির্ধারিত সময়ে বাংলাদেশে আসবে তারা।'
করোনাকালে ক্রিকেট খেলার সাহস দেখানো ক্রিকেট বোর্ডগুলোর অন্যতম সিডব্লিউআই। জুনে মহামারি চলাকালে ইংল্যান্ডে টেস্ট সিরিজ খেলেছে তারা। প্রথম দল হিসেবে নিউজিল্যান্ডেও সিরিজ খেলেছে উইন্ডিজ। জানুয়ারিতে বাংলাদেশ সফরে এসে ইতিহাসের অংশ হতে চাইবে ক্যারিবীয়রা। টাইগারদের বিপক্ষে তিনটি ওয়ানডে এবং দুই টেস্টের সিরিজ খেলবেন জেসন হোল্ডাররা। সিডব্লিউআই সিইও জনি গ্র্যাভ মিডিয়াকে জানিয়েছেন, বাংলাদেশ সফরের জন্য আগামী সপ্তাহে ২৫ সদস্যের দল ঘোষণা করা হবে। বিসিবির পরিকল্পনা অনুযায়ী ঢাকায় হোটেলে সাত দিনের কোয়ারেন্টাইন করতে হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলকে। তিনটি কভিড টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ হলে চতুর্থ দিন থেকে নিজেদের মধ্যে অনুশীলন করার সুযোগ পাবে। কোয়ারেন্টাইন শেষ করে ১৮ জানুয়ারি একদিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বিকেএসপিতে। ২০ ও ২২ জানুয়ারি ঢাকার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে দুটি ওয়ানডে খেলে চট্টগ্রামে যাবে দুই দল। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ২৫ জানুয়ারি হবে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে। এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে ২৮ থেকে ৩১ জানুয়ারি চার দিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে তারা। ৩ থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি প্রথম টেস্ট ম্যাচ হবে চট্টগ্রামে। ১১ থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় হবে দ্বিতীয় টেস্ট।
মন্তব্য করুন