
নিখুঁত ভিনিসিয়ুস
সার্জিও রামোস, রাফায়েল ভারানে, দানি কারভাহাল- এই তিনজনকে বাদে লিভারপুলের মুখোমুখি হওয়াটাই যেন রিয়ালের জন্য বাড়তি চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে রক্ষণ সাজাতে ভালোই হিমশিম খেতে হয় কোচ জিনেদিন জিদানকে। তবে যে দিক নিয়ে তিনি বেশি চিন্তায় ছিলেন, সেই রক্ষণ এদিন ছিল বেশ মজবুত। লিভারপুলের মতো দলের বিপক্ষে মুহুর্মুহু আক্রমণ ঠেকিয়ে মাত্র এক গোল হজম তারই প্রমাণ বহন করে। অন্যদিকে আক্রমণভাগে যাকে নিয়ে আশা দেখেছিলেন জিদান, সেই করিম বেনজেমা না জ্বললেও ঠিকই জিদানকে জয়টা এনে দিলেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। কয়েকদিন ধরে তাকে নিয়ে সমালোচনা। মাঠেই যেন তার জবাব দিলেন নিখুঁত দুটি গোল করে। সঙ্গে অনিয়মিত আরেক ফুটবলার অ্যাসেনসিও রাখলেন অবদান। এই দু'জনের কাঁধে ভর করে প্রথম লেগটা নিজেদের করে নিল সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর ক্লাবটি। ম্যাচ শেষে জিদানও হাসিমুখে বললেন এমন ভিনিসিয়ুসকে কতটা দরকার তার, 'আমি তাকে নিয়ে খুবই আনন্দিত। বেনজেমা, অ্যাসেনসিওর মতো তারও গোল পাওয়া দরকার ছিল। সে চমৎকার খেলেছে, দলকে জেতাতে দারুণ অবদান রেখেছে।'
লিভারপুলের হতাশার প্রথমার্ধ
এতটা বাজে অবস্থায় কমই পড়ে লিভারপুল। অন্তত প্রথমার্ধে এভাবে প্রতিপক্ষের কাছে ধরাশায়ী হওয়া। মঙ্গলবার পুরোনো সব লজ্জা যেন এক হলো রিয়ালের মাঠে। প্রথমার্ধে একটি শটও তারা রিয়ালের গোলমুখে করতে পারেনি। ২০১৪ সালে ঠিক এই রিয়ালের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্রথম ৪৫ মিনিট এ রকম হতাশার ছিল তাদের। শুধু তাই নয়, প্রথমার্ধে দুই গোল হজমও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট পর্বে তাদের আরেক বাজে রেকর্ড। ২০০৫ সালে যেটা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে এসি মিলানের সঙ্গে দেখেছিল অল রেডস।
মন্তব্য করুন