সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি |
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩০ ডিসেম্বর ২০ । ০০:০০
প্রকাশ: ৩০ ডিসেম্বর ২০ । ০০:০০
জামালগঞ্জের সাচনার লামাবাজারে শহীদ সিরাজ যে স্থানে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন, সেখানে শহীদ মিনারে গিয়ে দেখা যায়, মিনারের দক্ষিণ পাশে ইট-সিমেন্টের অর্ধনির্মিত একটি স্তম্ভ কোনোরকমে দাঁড় করানো হয়েছে। এর নিচে পড়ে আছে কয়েকটি নতুন টাইলস। প্রায় ১৫ দিন ধরে এটুকু পর্যন্তই আটকে আছে কাজ। নতুন প্রজন্মের কাছে শহীদ সিরাজকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার উদ্যোগের মন্থর গতিতে ক্ষুব্ধ অনেকে।
গত বছরের ৪ অক্টোবর সাচনা বাজারে শহীদ সিরাজের গুলিবিদ্ধ হওয়ার স্থান পরিদর্শনে এসে এ বিজয়ের মাসেই শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সিরাজের স্মৃতিস্তম্ভ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ। সে সময় তার সঙ্গে ছিলেন জেলা মুক্তি সংগ্রাম স্মৃতি ট্রাস্টের সদস্য সচিব সালেহ আহমেদ, সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আমজাদ, বজলুল মজিদ চৌধুরী খসরু, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার নূরুল মুমিনসহ অনেকে।
শহীদ সিরাজুল ইসলাম ১৯৫২ সালের ১৩ মার্চ কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা থানায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭১ সালের এপ্রিলের মাঝামাঝি মেঘালয়ের ইকুয়ানে প্রশিক্ষণ শেষে ৫ নম্বর সেক্টরের টেকেরঘাট সাব-সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। ৭ আগস্ট সাচনা-জামালগঞ্জ যুদ্ধে সাচনার লামাবাজারে তার নেতৃত্বে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে মরণপণ যুদ্ধ সংঘটিত হয়। যুদ্ধে বিজয় অর্জিত হলেও পাঞ্জাবিদের কাভারিং ফায়ারে তিনি শহীদ হন।
এ নিয়ে কমরেড বরুণ রায় স্মৃতি পরিষদের সহসভাপতি আলী আমজাদ বলেন, একজন খেতাবপ্রাপ্ত শহীদের স্মৃতি স্মারক প্রতিশ্রুতির এক বছরেও নির্মাণ না হওয়াটা দুঃখজনক। সাচনা বাজারের এ স্থানে বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হয়েছেন, এটা বর্তমান প্রজন্ম জানেই না।
জামালগঞ্জের উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের সাবেক কমান্ডার আসাদ উল্লাহ সরকার বলেন, 'আমি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে চাই শহীদ সিরাজের নামে দ্রুত স্মৃতি স্মারক নির্মাণ করে তার বীরত্বের কথা ছড়িয়ে দেওয়া হোক।' ইউএনও বিশ্বজিত দেব বলেন, স্মৃতিফলকের নকশা নিয়ে একটু সমস্যা ছিল। এখন নকশা ফাইনাল
হয়ে গেছে। সব কিছুই চলে আসছে। শিগগিরই কাজ শেষ করা হবে।
মন্তব্য করুন