মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী পাত্রখোলা এলাকার কৃষক আব্দুল মতিন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এবং লাল তীরের সার্বিক সহযোগিতায় তিন জাতের হাইব্রিড তরমুজ চাষ করে অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছেন। তার সাফল্য দেখে খোদ কৃষি বিভাগই বিস্মিত। এলাকার অন্যান্য কৃষকের মধ্যেও সাড়া জাগিয়েছে এই হাইব্রিড তরমুজ।

আব্দুল মতিন জানান, দুই বিঘা জমিতে তিনি তিন জাতের তরমুজ চাষ করেছেন। এগুলো হলো- ব্ল্যাকবেরি, মধুমালা ও ল্যানফি জাতের হলুদ তরমুজ। ইতোমধ্যেই তিনি ফল বিক্রি শুরু করেছেন। তিন জাতের মধ্যে হলুদ রঙের লাল তীরের হাইব্রিড ল্যানফি জাতটির সর্বাধিক ফলন হয়েছে। ফলের ওজন ও আকার সবাইকে আকৃষ্ট করেছে। শুধু আকার নয়, এর স্বাদও অসাধারণ। মধুর মতো মিষ্টি। বাজারে এর দামও ভালো পাচ্ছেন। তিনি জানান, এই তিন জাতের তরমুজ চাষ করতে তার খরচ হয়েছে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা। আর এখন পর্যন্ত ফল বিক্রি করেছেন ১ লাখ ২০ হাজার টাকার মতো। আরও দেড় থেকে দুই লাখ টাকার ফল বিক্রি করতে পারবেন বলে আশাবাদী তিনি। তিনি আরও জানান, ল্যানফি জাতটির ফলন অন্যগুলোর চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি এবং ফলের ওজন ৩ থেকে ৪ কেজি বেশি। তাই আগামীতে তিনি ব্যাপকভাবে এই জাতের তরমুজ চাষ করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।

মৌলভীবাজার জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কাজী লুৎফুল জানান, হাইব্রিড হলুদ তরমুজ বছরব্যাপী মাচায় ও মাঠে চাষ করা যায়। এটি চাষ করতে প্রতি শতকে বীজের পরিমাণ লাগে মাত্র ১ গ্রাম। উত্তম পরিচর্যায় একরে ফল উৎপাদন হয় ৩০ থেকে ৩৫ টন।

মন্তব্য করুন