- সিলেট বিভাগ
- উপসর্গ তীব্র হলেই অসহায় হয়ে পড়ছেন রোগীরা
সিলেট বিভাগ
উপসর্গ তীব্র হলেই অসহায় হয়ে পড়ছেন রোগীরা
সুনামগঞ্জে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে
আলী সিদ্দিক বললেন, যাদের উচ্চমাত্রায় অক্সিজেন প্রয়োজন তাদের সুনামগঞ্জে রাখার ঝুঁকি নিতে চাচ্ছেন\হনা চিকিৎসকরা। এ অবস্থায় বিপাকে পড়ছেন রোগী\হও তার স্বজনরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে রোগীর চাপ ক্রমেই বাড়ছে। অন্যদিকে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা ও নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্র (আইসিইউ) না থাকায় দুশ্চিন্তা বাড়ছে সংশ্নিষ্ট সবার।
সুনামগঞ্জে বিগত সময়ে করোনা আক্রান্তরা হোম আইসোলেশনেই থেকেছেন বেশি। কয়েক দিন ধরে করোনা ইউনিটে চাপ বেড়েছে। মঙ্গলবার সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটে রোগী ছিলেন ৩৫ জন। এ অবস্থায় দ্রুত হাসপাতালের সক্ষমতাও বাড়ানো জরুরি বলে মনে করছেন সচেতন সমাজ ও স্বাস্থ্য-সংশ্নিষ্টরা।
সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) সহসভাপতি খলিল রহমান বললেন, ক্রমেই খারাপ অবস্থার দিকে যাচ্ছে করোনা পরিস্থিতি। এ অবস্থায় সদর হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা চালু এবং আইসিইউ স্থাপন করা জরুরি হয়ে পড়েছে। তীব্র উপসর্গ হলেই রোগীকে সিলেটে নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হচ্ছে। আবার সিলেটে গিয়ে কোনো হাসপাতালে স্থান পাওয়া যাচ্ছে না। বিপদে পড়ে যাচ্ছেন রোগী ও তার স্বজনরা।
সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে ৫৬ জন ডাক্তারের পদ থাকলেও নতুন ডাক্তারসহ ডাক্তার আছেন ২৬ জন। এর মধ্যে ছয়জন ডাক্তার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। চিকিৎসক, কর্মচারী সংকটসহ নানা সংকটের মধ্যেও আমরা করোনা রোগীদের গুরুত্ব দিচ্ছি। উচ্চমাত্রায় যাদের অক্সিজেন প্রয়োজন হচ্ছে, তাদের সিলেটে পাঠানোর কোনো বিকল্প নেই আমাদের হাতে।
সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আনিছুর রহমান বলেন, আইসিইউ কক্ষের ভেতরের কিছু কাজ গণপূর্ত বিভাগ এখনও শেষ করেনি। কবে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহ শুরু করা যাবে বলা যাচ্ছে না। তবে দ্রুত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
সিভিল সার্জন ডা. শামছ উদ্দিন আহমদ বললেন, স্বাস্থ্য বিভাগের সক্ষমতা যা আছে সবকিছুই আমরা মানুষের সেবায় কাজে লাগাতে প্রস্তুত আছি। উচ্চমাত্রায় অক্সিজেনের প্রয়োজন হলে অনেক সময় বাধ্য হয়েই রোগীকে স্থানান্তরের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
বিষয় : উপসর্গ
মন্তব্য করুন