প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি
সায়লার চিরকুটে লেখা রয়েছে- 'যদি কোনো খারাপ ব্যবহার করে থাকি তাহলে মাফ করে দিয়েন। আর আমার মুখটা শেষবারের মতো আমার প্রিয় মানুষটাকে দেখার সুযোগ করে দিয়েন। আমি ভালো না তাই সবাই আমাকে ভুল বোঝে, আমি যদি বেঁচে থাকি তাহলে আমার বর, আমার শাশুড়ি এমনকি অন্যান্য মানুষ আমাকে ভুল বোঝে। তাই আমি ভাবলাম আমার জন্য যেন কেউ দুঃখ-কষ্ট না পায়। আমি চাই সবাই ভালো থাকুক। আমার চলে যাওয়ার জন্য কেউ দায়ী নয়, কাউকে দোষারোপ করব না।'
পুলিশ জানায়, সায়লা কালামপুরের গোলাম মোস্তফার একটি ভবনের দ্বিতীয় তলায় স্বামী নুরুল ইসলামকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন। তার স্বামী স্থানীয় গ্রাফিক্স টেক্সটাইল কারখানার শ্রমিক। সকালে তার স্বামী কর্মস্থলে চলে যায়। গতকাল দুপুরে বাসার অন্য ভাড়াটিয়ারা রুমের মধ্যে ফ্যানের সঙ্গে সায়লার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
নিহতের স্বামী নুরুল ইসলাম জানান, চার মাস আগে সায়লাকে বিয়ে করেন তিনি। সায়লার মোবাইল ফোনের ডায়ালে একটি নম্বর পাওয়া যায়। ওই নম্বরে ফোন করে জানতে পারেন সেটি কালামপুরের এক ব্যাংক কর্মচারীর।
ধামরাই থানার এসআই মিজানুর রহমান বলেন, মৃত্যুর বিষয়টি রহস্যজনক।