প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০১৯
নিজস্ব প্রতিবেদক, সাভার
পরিবেশ অধিদপ্তরের মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট উইংয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী তামজীদ আহমদের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে ভ্রাম্যমাণ আদালত প্রমাণ পান, কোনো ইটভাটারই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র এবং কোনো প্রকার অনুমোদন নেই। ইটভাটাগুলোতে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়নি। এ ছাড়া আইনে রয়েছে, নদী থেকে কমপক্ষে এক কিলোমিটার দূরে ইটভাটা স্থাপন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে তা অনুসরণ করা হয়নি। ফলে ভ্রাম্যমাণ আদালত রাজু ব্রিকসকে ১০ লাখ, মেসার্স আশরাফ ব্রিকস-১-কে ১০ লাখ, মেঘনা ব্রিকসকে ২০ লাখ, এসএস ব্রিকসকে ২০ লাখ, মর্ডান ব্রিকসকে ১১ লাখ, স্টাইল ব্রিকসকে ১১ লাখ, সুরমা ব্রিকস-১-কে ১৩ লাখ টাকা জরিমানা করেন।
এদিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে এমএসবি ব্রিকসের ম্যানেজার পালিয়ে যান। পরে বুলডোজার দিয়ে ওই ভাটাটিসহ মেসার্স আল-আশরাফ ব্রিকস-২ এবং সুরমা ব্রিকস-২-এর ইটের প্রাচীর ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী তামজীদ আহমদ বলেন, এ অঞ্চলের অধিকাংশ ইটভাটাই অনুমোদনবিহীন। ভাটা মালিকরা লাইসেন্স না করেই ইটভাটা স্থাপন করেছেন। তাই পরিবেশ রক্ষার্থে পর্যায়ক্রমে সব ভাটায় অভিযান পরিচালনা করা হবে। অভিযানকালে পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আমিরুল ইসলাম খান, অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মিহির লাল সরদার, সমর কৃষ্ণ দাস, মো. শরিফুল ইসলামসহ র্যাব ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।