প্রকাশ: ২৫ আগস্ট ২০১৯
শাহাদাত হোসেন রতন, সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ)
এলাকাবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে মদনপুর-নরসিংদী ও তালতলা থেকে বারদী বাজার পর্যন্ত সড়কে সংস্কারকাজ হয়নি। যদিও তিন-চার মাস আগে এ দুটি সড়কের সংস্কারকাজ শুরু হয়। অজ্ঞাত কারণে বস্তল থেকে প্রভাকরদী বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত সংস্কারকাজ বন্ধ হয়ে আছে। দীর্ঘদিন ধরে এ সড়কে পিচ ঢালাই উঠিয়ে ইট-সুরকি ফেলে রাখায় ভারী যান চলাচলের কারণে বিভিন্ন স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি হলেই এ গর্তের মধ্যে পানি জমে থাকে। গর্ত দিয়ে গাড়ি চলাচলের সময় গাড়ি উল্টে অনেকে দুর্ঘটনার শিকার হয়। দুর্ঘটনায় অনেকের হাত-পা ভেঙেছে।
এলাকাবাসীর আরও অভিযোগ, বারদী এলাকার একটি সিমেন্ট কোম্পানির শতাধিক কাভার্ডভ্যান ও ট্রাক চলাচলের কারণে ইট-সুরকি উঠে গিয়ে বস্তল থেকে বারদী পর্যন্ত শতাধিক গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ গর্তের মধ্যে ছোট ছোট যানবাহন উল্টে প্রতিদিন যাত্রীরা আহত হচ্ছেন। ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ইট, বালু, খোয়া উঠে গিয়ে বেহাল অবস্থায় পরিণত হয়েছে।
তালতলা এলাকার ব্যবসায়ী আবু তৈয়ব ও কাশেম আলী জানান, দীর্ঘদিন ধরে এ সড়ক দুটি বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। একটি সিমেন্ট কোম্পানির ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে এ সড়কের বিভিন্ন স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। শুস্ক মৌসুমে ধুলাবালি আর বর্ষা মৌসুমে গর্তের পানিতে এ সড়ক চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
উত্তর কাজীপাড়া গ্রামের মজিবুর রহমান জানান, বস্তল থেকে প্রভাকরদী পর্যন্ত সড়কটিতে শতাধিক ছোট-বড় গর্ত হয়ে আছে। এ সড়কে চলতে গিয়ে কোমরে ব্যথা হয়ে যায়। কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি যেন এ সড়কে পড়ে। দ্রুত সড়কটি সংস্কার করে জনসাধারণের চলাচলের উপযোগী গড়ে তোলার আহ্বান করছি।
শেখকান্দি গ্রামের আনিছুর রহমান জানান, দীর্ঘদিন ধরে এ অঞ্চলের মানুষের চলাচলের জন্য বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। এ সড়কের বেহাল অবস্থা থাকায় ছোট ছোট যানবাহন এ সড়কে আসতে চায় না।
তালতলা-বারদী সড়কের অটোরিকশাচালক শাকিল মিয়া জানান, এ সড়কের যে অবস্থা হয়েছে, তাতে দু'দিন পর পর গাড়ি গ্যারেজে নিতে হয়। যাত্রীদেরও তেমন সেবা দেওয়া সম্ভব হয় না। গর্তের মধ্যে পড়ে গাড়ি উল্টে বিভিন্ন সময়ে যাত্রীরা আহত হয়ে থাকেন।
নারায়ণগঞ্জ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আলিউল হোসেন বলেন, সড়কটি সংস্কারের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সড়কটি দ্রুত সংস্কারের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।