প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০১৯
দিনাজপুর ও তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
গতকাল বুধবার সকাল থেকে দিনাজপুর সদর উপজেলার ৮নং উপশহরের লম্বাপাড়ায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়। জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের সচিব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজিমউর রহমান ও মোহাম্মদ উল্লাহ এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন। এ সময় জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের শ্রমিকরা দখলদারদের নির্মিত সীমানা প্রাচীর ও বিভিন্ন স্থাপনা বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলেন।
নিয়ম মেনেই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে। দিনাজপুরে গৃহায়নের আওতায় যতগুলো অবৈধ স্থাপনা রয়েছে, পর্যায়ক্রমে সেগুলো উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করা হবে। দিনাজপুর শহরের মোট ১০টি ব্লকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে। বেদখল হয়ে যাওয়া অবৈধ স্থাপনার মোট পরিমাণ সাড়ে ৪০০ একর।
জাতীয় গৃহায়ন দিনাজপুর ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মোর্শেদ মাহমুদ চৌধুরী জানান, দিনাজপুর শহরের মধ্যে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের আওতায় যতগুলো অবৈধ স্থাপনা আছে, পর্যায়ক্রমে সবই ভেঙে ফেলা হবে।
দিনাজপুর জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী জিয়াউর রহমান জানান, তিন দিন ধরে উপশহরের বিভিন্ন ব্লকে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের বেদখল হয়ে যাওয়া প্রায় সাড়ে ৪০০ একর সম্পত্তির মধ্যে ৩০ একর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত বেদখল হয়ে যাওয়া জমি উদ্ধারে এই অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে সিরাজগঞ্জের তাড়াশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ২০ কোটি টাকা মূল্যের সরকারি জায়গা থেকে ৩০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে তাড়াশের ইউএনও (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ওবায়দুল্লাহর নেতৃত্বে ওই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়।
উচ্ছেদ অভিযান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তাড়াশ খাদ্যগুদাম এলাকায় পাউবোর জায়গা প্রভাবশালীরা ২৫ বছর ধরে দখল করে সেখানে বসতবাড়ি, দোকানপাট নির্মাণ করে ভোগদখল করে আসছিল। সরকারি ওই সম্পত্তি রক্ষায় এই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়।
উচ্ছেদ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মিল্টন হোসেন প্রমুখ।