
চুক্তিহীন ব্রেক্সিট আটকাতে একটি বিল এরই মধ্যে পার্লামেন্টের নিম্ন ও উচ্চকক্ষে পাস হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী সোমবারই তাতে সম্মতি দিয়ে স্বাক্ষর করবেন রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ। গতকাল বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জনসনের সরকার এরই মধ্যে একটি আইনি সহায়তাকারী দল গঠন করেছে। তারা ব্রেক্সিট-সংক্রান্ত যে কোনো আইন আদালত পর্যন্ত টেনে নিয়ে যাওয়ার উপায় খুঁজছেন। বিবিসি আরও জানিয়েছে, ওই আইনি দলে ২১ বিদ্রোহী এমপিরও কেউ কেউ রয়েছেন, যাদের ইতিমধ্যে দল থেকে বহিস্কার করেছেন জনসন। তবে এ ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তিনবারের চেষ্টায়ও ব্রেক্সিট নিয়ে ইইউর সঙ্গে চুক্তিতে পৌঁছাতে না পারার জেরে পূর্বসূরি তেরেসা মের পদত্যাগের পর গত জুলাইয়ে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন জনসন। তিনি বরাবর বলে আসছেন, চুক্তি হোক বা না হোক ৩১ অক্টোবরের মধ্যেই ইইউ থেকে বেরিয়ে যাবে ব্রিটেন। এ জন্য জনসন বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। তিনি বৃহস্পতিবার বলেছেন, ব্রেক্সিট ঝুলে যাওয়ার চেয়ে তার জন্য মৃত্যুই শ্রেয়। গতকাল ব্রিটেনের বিখ্যাত সংবাদপত্র টেলিগ্রাফ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। যাতে বলা হয়েছে, ব্রেক্সিট নিয়ে ইইউর সঙ্গে সমঝোতায় না পৌঁছাতে পারলে প্রয়োজনে পার্লামেন্টের নির্দেশনা অমান্যের প্রস্তুতিও নিয়ে ফেলেছেন জনসন। জনসনকে উদ্ৃব্দত করে পত্রিকাটি লিখেছে, প্রধানমন্ত্রী মনে করেন, নতুন ব্রেক্সিট বিলের নিয়মকানুন মানতে তিনি শুধু তাত্ত্বিকভাবে বাধ্য। এর মানে দাঁড়ায় প্রায়োগিক দিক থেকে তিনি আসলে আইন অমান্যের কথা ভাবছেন।
তবে সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী ও কনজারভেটিভ নেতা ডেভিড লিডিংটন গতকাল বলেছেন, যে কোনো আইন অমান্য চরম বিপজ্জনক নজির সৃষ্টি করবে। কারণ সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রধান নৈতিক ভিত্তি হচ্ছে আইন মেনে চলা।
মন্তব্য করুন