আফগানিস্তানের পর ইরাকেও সামরিক অভিযানের ইতি টানছে যুক্তরাষ্ট্র। চলতি বছরের শেষ নাগাদ যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধসেনারা (কমব্যাট) ইরাক ত্যাগ করবে। হোয়াইট হাউসে ইরাকি প্রধানমন্ত্রী মুস্তাফা আল-খাদিমির সঙ্গে বৈঠকের পর গত সোমবার এ ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেন। বৈঠকে ইরাকে আর বিদেশি যুদ্ধসেনার প্রয়োজন নেই বলে বাইডেনকে জানান ইরাকি প্রধানমন্ত্রী। এরপরই এই সিদ্ধান্তের কথা জানান বাইডেন। তবে ইরাকি সেনাবাহিনীকে প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেওয়ার কাজ অব্যাহত রাখবে যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা।

ওয়াশিংটনের এক বিবৃতিতে বলা হয়, বাইডেনের ঘোষণার পরও ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের অবস্থান করার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তারা কোনো ধরনের সেনা অভিযান বা যুদ্ধে অংশ নেবে না, বরং ইরাকি সেনাবাহিনীকে প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেবে। ফলে বাইডেনের ঘোষণাকে ইরাকি প্রধানমন্ত্রীর জন্য একটি সহায়তামূলক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

বৈঠকের পর ইরাকি প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন যুক্তরাষ্ট্র-ইরাক সম্পর্ক আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে শক্তিশালী। অর্থনীতি, পরিবেশ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে দুই পক্ষ তাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করবে।

২০০৩ সালে ইরাকের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনকে ক্ষমতাচ্যুত করতে দেশটিতে অভিযান শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। পরে তারা জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটকে (আইএস) মোকাবিলায় স্থানীয় বাহিনীগুলোকে সহায়তা করছে। আইএসের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক জোটের লড়াইয়ের অংশ হিসেবে ২০১৪ সালে ইরাকে সবশেষ যুক্তরাষ্ট্রের সেনা মোতায়েন করা হয়েছিল। খবর বিবিসি ও রয়টার্সের।

মন্তব্য করুন