- আন্তর্জাতিক
- দুর্গে দুর্গে যুদ্ধের প্রস্তুতি
আন্তর্জাতিক
ইউক্রেন সংকট
দুর্গে দুর্গে যুদ্ধের প্রস্তুতি
সমকাল ডেস্ক |
সমকাল ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২২ । ০০:০০
আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২২ । ০১:২৭
প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২২ । ০০:০০ । আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২২ । ০১:২৭
শক্র মোকাবিলায় ক্রিমিয়ার একটি ভূগর্ভস্থ বাঙ্কারে এভাবে অবস্থান নিয়েছেন ইউক্রেনের এক সেনা- এপি
একজন সামরিক কর্মকর্তা এগিয়ে এসে ইউক্রেন যুদ্ধের কার্যকারণ ব্যাখ্যা করলেন। তার ভাষায়- ভদ্মাদিমির পুতিন রাশিয়ার ডনবাস ও ক্রিমিয়ার রাশিয়া অধিকৃত অঞ্চলগুলোর মধ্যে একটি স্থল করিডোর তৈরি করার স্বপ্ন দেখছেন। তবে সেই সুযোগ পুতিনকে দেওয়া হবে না বলে দৃঢ়তা প্রকাশ করলেন ওই অফিসার। একটু পর আবার বললেন, আক্রমণসহ যা কিছু ঘটুক আমরা তার জন্য প্রস্তুত। রাশিয়া হামলা চালালে আমরা শক্ত হাতে তা প্রতিরোধ করব।
সীমান্তের ওপারে রুশ সৈন্য আদৌ রয়েছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বললেন, রাশিয়ার সামরিক উপস্থিতির কয়েকটি সুস্পষ্ট লক্ষণ রয়েছে। রাতে লুকিয়ে থাকা শত্রু ট্যাঙ্কের আওয়াজ শুনতে পাওয়া যায়। রুশ সৈন্যদের চোখে দেখা না গেলেও বাস্তবতা হচ্ছে, ক্রেমলিন যে কোনো সময় অগ্রসর হতে পারে। স্থল, সমুদ্র বা আকাশপথে- তিন দিক থেকেই আক্রমণ আসার সম্ভাবনা রয়েছে। যুদ্ধ করার অভিপ্রায়ে রাশিয়ার সুদূর পূর্ব অঞ্চল থেকে যুদ্ধকৌশল সংক্রান্ত একটি বাহিনীকে ইউক্রেন সীমান্তে হাজির করেছে মস্কো। সঙ্গে আনা হয়েছে রকেট লঞ্চার, এস-৪০০ এয়ার মিসাইল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। এই শক্তিশালী সেনাবাহিনী কিয়েভ থেকে মাত্র ২০০ কিলোমিটার দূরে দাঁড়িয়ে আছে।
ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়া প্রায় এক লাখ সেনা সমাবেশ করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিপুলসংখ্যক রুশ সেনা সমাবেশের ফলে রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসনের পরিকল্পনা করছে বলে আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। যদিও রাশিয়া এমন আশঙ্কা নাকচ করে দিয়েছে। ইউক্রেন আক্রমণ করার পেছনে রাশিয়ার কৌশলগত লক্ষ্য হচ্ছে- ক্রিমিয়াকে ডোনেটস্ক এবং লুহানস্কের বিচ্ছিন্নতাবাদী মিনি-ফিফডমের সঙ্গে যুক্ত করা। ২০১৪ সাল থেকেই মস্কো কার্যকরভাবে এই অঞ্চলগুলো দখল করে আছে।
লুক হার্ডিং :গার্ডিয়ানের বিদেশবিষয়ক প্রতিবেদক ও লেখক
ইউক্রেনকে 'প্রাণঘাতী' সামরিক সরঞ্জাম দিল যুক্তরাষ্ট্র
রাশিয়ার আগ্রাসনের আশঙ্কার মধ্যে ইউক্রেনে 'প্রাণঘাতী সামরিক সরঞ্জাম' পাঠাল যুক্তরাষ্ট্র। ৯০ টনের ওই সামরিক সহায়তা ইতোমধ্যে ইউক্রেনে পৌঁছেছে। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস সামরিক সহায়তা পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। খবর বিবিসির।
ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা পাঠানোর বিষয়ে সম্প্রতি অনুমোদন দেয় যুক্তরাষ্ট্র সরকার। ওই সামরিক সহায়তার মধ্যে সম্মুখ যুদ্ধক্ষেত্রে প্রতিরক্ষার জন্য গোলাবারুদ রয়েছে। গত সপ্তাহে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের কিয়েভ সফরের পরপরই ওই সামরিক সরঞ্জাম পাঠানো হলো।
ইউক্রেন নিয়ে উত্তেজনা কমাতে শুক্রবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বৈঠক করেন ব্লিঙ্কেন ও রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। ওই বৈঠকের পর দেশ দুটি জানায়, তারা ইউক্রেন ইস্যুতে চলমান উত্তেজনা হ্রাসের ব্যাপারে সম্মত হয়েছে।
বাইডেন গত ডিসেম্বরে ইউক্রেনের জন্য নিরাপত্তা সহায়তার জন্য ২০ কোটি মার্কিন ডলার সহায়তার প্যাকেজে অনুমোদন দেন। কিয়েভে মার্কিন দূতাবাস ফেসবুক পোস্টে বলেছে, ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব রক্ষার অধিকারের প্রতি ওয়াশিংটনের প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে সামরিক সরঞ্জামের প্রথম চালান এসেছে। ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীকে রাশিয়ার আগ্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এ রকম সহায়তা অব্যাহত রাখবে যুক্তরাষ্ট্র্র। এ সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকভ।
বিষয় : ইউক্রেন সংকট
মন্তব্য করুন