করিডোর

করিডোর এবং চট্টগ্রাম বন্দর ইস্যুতে কঠোর আন্দোলনে যাচ্ছে বামপন্থি দল ও জোটগুলো। এরই অংশ হিসেবে ২৭ ও ২৮ জুন ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখে রোডমার্চ করবে তারা।

মিয়ানমারকে করিডোর দিয়েছে বলে যে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে তা সর্বৈব মিথ্যা বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, রাখাইন রাজ্যে মানবিক বিপর্যয়ের জন্য একটি ত্রাণ চ্যানেলের প্রস্তাব করেছিলেন জাতিসংঘ মহাসচিব। এটা করা হলে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে সহায়ক হবে। কিন্তু এই প্রস্তাবটি প্রস্তাবের পর্যায়েই রয়ে গেছে।

রাখাইনে মানবিক করিডোরে জাতিসংঘের যুক্ততা নিয়ে সংগঠনটির আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস বলেছেন, আন্তঃসীমান্ত সম্পর্ক উন্নয়ন, সংঘাতের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের সহায়তা করার জন্য যে কোনো ধরনের উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। এ বিষয়ে জাতিসংঘ সহায়তা করবে। কিন্তু এ ধরনের কোনো মানবিক করিডোর নেই। আমরা করিডোর-সংক্রান্ত কোনো ধরনের আলোচনায়ও নেই।

মিয়ানমারের রাখাইনে মানবিক করিডোর জাতিসংঘের সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ ও দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ায় একটি নতুন অবস্থান স্থাপনে ব্যবহার করতে পারে। আর এটি হলে ভারত ও চীন উভয় দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক চরম অবনতি হতে পারে।

জনপরিসরের আলোচনায় ‘মধ্যমণি’ এখন বাংলাদেশ ও রাখাইনের মধ্যকার কথিত মানবিক করিডোর। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মানুষ দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি।

পরিকল্পনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, অর্থনৈতিক করিডোরে শুধু বাংলাদেশ নয়, এ অঞ্চলের সব দেশই উপকৃত হবে।

জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কোনো কাজে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সম্পৃক্ত হবে না বলে জানিয়েছেন কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম।

রাখাইনে মানবিক করিডর নিয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ‘এ নিয়ে আমাকে কোনো প্রশ্ন করবেন না।’  বুধবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। 

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা বিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ খলিলুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশ ‘করিডোর’ নিয়ে কারও সঙ্গে আলোচনা করেনি এবং করবেও না। তবে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ত্রাণ সরবরাহের একটি ‘চ্যানেল’ তৈরির জাতিসংঘের প্রস্তাব বিবেচনা করছে ঢাকা।

মিয়ানমারের রাখাইন অঞ্চলে মানবিক করিডোর ইস্যু নিয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান।