শিক্ষাবোর্ড

গত সাত বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ ফল করেছে দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ড। এবার এই বোর্ডের পাশের হার ৬৭ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। মাত্র এক বছরে এই শিক্ষা বোর্ডে এসএসসি পরীক্ষার পাশের হার কমেছে ১১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫ হাজার ৬২ জন শিক্ষার্থী, যা গত বছরের তুলনায় ৩ হাজার কম।

চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডে গণিত ও ইংরেজিতে ফল বিপর্যয় হয়েছে। এ কারণে কমেছে পাসের হার, জিপিএ-৫ এবং শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় বোর্ড মিলনায়তনে ফলাফল ঘোষণার সময় সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানান বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. শামছুল ইসলাম। এ বোর্ডে গড় পাসের হার ৬৩ দশমিক ৬০ শতাংশ। গত বছর পাসের হার ছিল ছিল ৭৯ দশমিক ২৩ শতাংশ।

আগামী ২৬ জুন থেকে সারাদেশে শুরু হতে যাচ্ছে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা।

সারাদেশের ৬৭টি সরকারি কলেজে নতুন অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ পদায়ন দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে ৬৪টি প্রতিষ্ঠানে অধ্যক্ষ ও তিনটি প্রতিষ্ঠানে উপাধ্যক্ষ পদে বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারের ৬৭ জন কর্মকর্তাকে পদায়ন করা হয়।

আইনগতভাবে এ ধরনের কাজ অবৈধ এবং কঠোর শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কেউ এ ধরনের কাজ করলে বা করার চেষ্টা করলে সেই শিক্ষককে দুই বছরের কারাদণ্ড হতে পারে বলে সতর্ক করেছে শিক্ষা বোর্ড।

সারাদেশে আজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে এসএসসি পরীক্ষা। এবারের পরীক্ষায় কুমিল্লা বোর্ডে বেড়েছে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা।

শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কামাল হায়দার সমকালকে জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, সেটা আমরা ওয়েবসাইটে আপলোড করেছি। প্রতিবছর এটা দেওয়া হয়ে থাকে।

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সচিবকে বদলির পর এবার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে উপ-সচিব মো. বেলাল হোসেন ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এএমএম মুজিবুর রহমানকে। প্রেষণে নিয়োগ প্রত্যাহার করে তাদেরকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে।

ওএসডি বোর্ড চেয়ারম্যানরা হলেন- যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মর্জিনা আক্তার, কুমিল্লা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. নিজামুল করিম, ময়মনসিংহ বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. আবু তাহের ও রাজশাহী বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. অলিউর রহমান।

চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে চলতি বছর এইচএসএসসি পরীক্ষার উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণের ফলাফলে ১ হাজার ৮৪৬ জনের ফলাফল পরিবর্তন হয়েছে। এর মধ্যে ফেল থেকে ১০১ পরীক্ষার্থী পাস করেছেন। প্রাপ্ত গ্রেড পরিবর্তন হয়ে নতুন করে আরও ৬১ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছেন।