শুল্ক আরোপ

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং সম্প্রতি ফোনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি বলে জানিয়েছে বেইজিং। শুধু তা–ই নয়, দুই দেশের মধ্যে শুল্কযুদ্ধ মেটাতে কোনো আলোচনাও চলছে না বলে জানিয়েছে দেশটি।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং আমাকে ফোন করেছেন। আমি মনে করি না যে, তাঁর পক্ষ থেকে এটা কোনো দুর্বলতার ইঙ্গিত।  তিন থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে চীনের সঙ্গে শুল্ক চুক্তি সম্পন্ন হবে। টাইম ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেছেন। শুক্রবার তাঁর এ সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয়। 

ট্রাম্প বলেন, ‘১৪৫ শতাংশ অনেক বেশি। নতুন শুল্ক ততটা উঁচু হবে না, এমনকি এর ধারে-কাছেও হবে না। এটা উল্লেখযোগ্য হারে কমানো হবে। তবে শূন্যে পৌঁছাবে না।’ 

চীনের ওপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ধারাবাহিক শুল্ক আরোপ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোকে একটি কঠিন পরিস্থিতিতে ফেলে দিয়েছে। একদিকে তাদের প্রধান ব্যবসায়িক অংশীদার চীন, অন্যদিকে সবচেয়ে বড় রপ্তানি বাজার যুক্তরাষ্ট্র।

জেডি ভ্যান্সের এ সফরের ঠিক আগ মুহূর্তে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার  গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য সহযোগী দেশগুলো সফর শেষ করেছেন। পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপ নিয়ে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে চীনকে একটি স্থিতিশীল ও নির্ভরযোগ্য বাণিজ্য অংশীদার হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে শি জিনপিং এ সফর করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতি বিশ্ব অর্থনীতিতে বড় ধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে। বিশেষ করে চীন–মার্কিন শুল্ক লড়াইয়ের প্রভাব কোথায় গিয়ে শেষ হয় তা এখনও বলা যাচ্ছে না।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাণিজ্যযুদ্ধ মোকাবিলা নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে আলোচনা করে এসেছে চীন সরকার।

চীনে তৈরি স্মার্টফোন ও অন্যান্য ইলেকট্রনিকস পণ্য শুল্ক থেকে অব্যাহতি পাবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, এসব পণ্যকে কেবল একটি নতুন ‘শুল্ক বিভাগের’ অধীনে আনা হচ্ছে। খবর বিবিসি

গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ শুল্ক ও ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আঞ্চলিক কয়েকটি দেশের জোট এবং দ্বিপাক্ষীক চুক্তির ওপর জোর দিতে হবে।

মার্কিন পণ্য আমদানিতে নতুন করে আরও ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে চীন। চীনের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ১৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের জবাবে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে জিনপিং প্রশাসন। খবর সিএনএনের।