বিশ্বজুড়ে চলছে করোনা ঝড়। সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী তাই সবাই রয়েছেন লকডাউনে। তবুও খুব দরকারি কাজে কিংবা পেশাগত দায়িত্বের জন্য বাইরে যেতে হচ্ছে অনেককে। সে ক্ষেত্রে চাই বাড়তি সতর্কতা। বাইরে থাকাকালীন অবশ্যই সঙ্গে রাখতে হবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং মুখে ব্যবহার করতে হবে মাস্ক। এ কথা এখন কারোরই অজানা নয়। তবুও সাবধান থাকা দরকার সবখানেই। সে ক্ষেত্রে বাইরে থেকে ফিরে অর্থাৎ বাসায় ঢুকে অবশ্যই সবার আগে কিছু নিয়ম অবলম্বন করতে হবে। যেন আমার নিজের দ্বারা পরিবারের অন্য সদস্যদের ভাইরাসটির সংক্রমণ না ঘটে। সব ধরনের ঝুঁকি এড়াতে যেসব পরামর্শ মেনে চলা এখন সবচেয়ে দরকার তা হলো-

ষ বাড়িতে প্রবেশ করার পর কোনো কিছুতে স্পর্শ করা যাবে না একেবারেই।

ষ জুতা বাড়ির দরজার বাইরে রাখাই ভালো।

ষ বাইরে থেকে আনা যে কোনো বস্তুই আগে জীবাণুমুক্ত করে নিন।

ষ বাইরে পরা জামাকাপড় অবশ্যই আলাদা স্থানে রাখতে হবে, আলাদা বালতি কিংবা ব্যাগ হতে পারে। পরে তা ধোয়ার সময় গরম পানি ও ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার করতে হবে।

ষ এবার সোজা বাথরুমে গিয়ে ভালোভাবে সাবান-পানি দিয়ে হাত, মুখ ও পা ধুয়ে ফেলুন। সম্ভব হলে গোসল করে নিন।

ষ ব্যবহূত সেলফোন, ঘড়ি, চশমা খুবই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস। তাই এগুলোকে ৭০ শতাংশ অ্যালকোহল স্যানিটাইজার দিয়ে পরিস্কার করুন।

ষ অবশ্যই বাড়ির দরজার হাতল কিংবা বাইরে থেকে আনা কিছু যেমন- কোনো প্যাকেট, বাক্স সবই জীবাণুনাশক দিয়ে পরিস্কার করে নিতে হবে। ব্লিচিং পাউডার মিশ্রিত দ্রবণ এ ক্ষেত্রে কার্যকরী। অবশ্যই এর আগে পরে নিতে হবে হ্যান্ড গ্লাভস।

ষ সবকিছু পরিস্কার হয়ে গেলে হাতের গ্লাভসটি ফেলতে হবে মুখবন্ধ ডাস্টবিনে এবং ফের হাত ধুয়ে নিন।

জানি, করোনার এ সময়টা খুব অনিশ্চিতভাবে কাটছে সবার। এই ভাইরাস থেকে বাঁচতে হলে তাই চাই একটু বাড়তি সাবধানতা। প্রয়োজন পরিস্কার থাকা। মনে রাখবেন, পুরোপুরি জীবাণুমুক্ত রাখা সম্ভব হয়তো নয়; কিন্তু এসব নিয়ম মেনে চললে আমরা ঝুঁকি অনেকটাই কমাতে পারি।



ছবি :ইমেজেস বাজার

মন্তব্য করুন