স্কুলে চুল বাঁধা-উকুন তোলা: ৭ এটিইও বদলি

বিদ্যালয়ের বারান্দায় শিক্ষকরা বাঁধছেন চুল
উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২ এপ্রিল ২০২২ | ০৭:৩৭ | আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০২২ | ০৭:৩৮
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলা শিক্ষা অফিসের সব সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে (এটিইও) বদলি করা হয়েছে। মঙ্গলবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) আলমগীর মোহাম্মাদ মনছুরুল আলম এই বদলির আদেশ দেন।
বদলি করা সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাগণ হলেন- আল মাহমুদ, রবিউল করিম, ইশরাত জাহান ওরেসি, আনিসুজ্জামান, জাহাঙ্গীর আলম, আবু সাঈদ ও আশরাফ আলী। তাদেরকে উল্লাপাড়া থেকে সিরাজগঞ্জ ও নাটোর জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বদলি করা হয়েছে। উল্লাপাড়ায় শিক্ষা অফিসে উল্লিখিত ৭ জন কর্মকর্তাই কর্মরত ছিলেন।
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম মন্ডল জানান, ৭ ও ৯ এপ্রিল উল্লাপাড়ার নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. উজ্জল হোসেন কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আকস্মিক পরিদর্শনে যান। পরিদর্শনকালে অধিকাংশ প্রাথমিক স্কুলে বেশিরভাগ শিক্ষককে অনুপস্থিত পান। কোনো কোনো বিদ্যালয়ে শিক্ষিকাকে স্কুলের বারান্দায় বসে অন্য নারীর সহযোগিতায় চুলের বেণি বেঁধে নিতে দেখেন। ইউএনও বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের অনুপস্থিতিতে নিজেও শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করেন বলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
এ ব্যাপারে ৯ এপ্রিল সমকালের অনলাইনে ‘শিক্ষকরা বাঁধছেন চুল, বেছে দিচ্ছেন উকুন; পরিদর্শনে গিয়ে ইউএনও হতভম্ব’ শিরোনামে সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হয় এবং পরদিন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এই চিত্র বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এর প্রেক্ষিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মোহাম্মাদ মনছুরুল আলম উল্লাপাড়ার সব সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে বদলির আদেশ দেন।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আরও জানান, উল্লাপাড়ায় ৭ জন সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কর্মরত ছিলেন। এখানে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা না থাকায় কিছুদিন ধরে সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আল মাহমুদ শিক্ষা কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। উল্লাপাড়ায় মোট ২৭৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।