সাঁথিয়ায় সাবেক চেয়ারম্যানের বাড়ির কর্মী খুন, ভাই গুরুতর আহত

প্রতীকী ছবি
পাবনা অফিস
প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২২ | ০০:১৯ | আপডেট: ০৫ জুন ২০২২ | ০০:১৯
পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার নাগডেমরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হারুন-অর রশিদের বাড়ির কর্মচারী আব্দুল মতিনকে (৩০) কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় সাবেক চেয়ারম্যানের ভাই জুয়েল রানা গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সাঁথিয়া পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের আওলাঘাটা ভূনারচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আব্দুল মতিন পশ্চিম সোনাতলা গ্রামের মৃত মহির উদ্দিনের ছেলে। তিনি হারুন-অর রশিদের বাড়িতে রাখালের (শ্রমিক) কাজ করতেন।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাতে আব্দুল মতিন ফেচুয়ান মহল্লায় জামাই বাড়িতে দাওয়াত খেতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পথে ৮ থেকে ১০ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী তার গতিরোধ করে ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপায়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ সময় সঙ্গে ছিলেন জুয়েল রানা। তাকে কুপিয়ে হত্যা করতে চাইলে তিনি ইছামতী নদীতে ঝাঁপ দিয় প্রাণে বাঁচেন।
জানতে পেরে সাবেক চেয়ারম্যানের লোকজন গিয়ে লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। এ সময় ইছামতী নদী থেকে আহত জুয়েলকে উদ্ধার করে প্রথমে সাঁথিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরে শেষ রাতে তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এ বিষয়ে হারুন-অর রশিদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে অন্য একজন রিসিভ করেন। তিনি জানান, হারুন-অর রশিদ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি।
তবে নাগডেমরা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান বলেন, আমি শনিবার সারাদিন পাবনা শহরে ব্যস্ত ছিলাম। এ বিষয়ে কিছুই জানি না।
সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, হত্যার প্রকৃত কারণ এখনো জানা সম্ভব হয়নি। পূর্বশত্রুতার জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। পরে বিস্তারিত জানাতে পারব।
ওসি জানান, মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। আজ রোববার সকালে ময়না তদন্ত করতে লাশ পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। আহত জুয়েল রানার অবস্থা গুরুতর। এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।