কুমিল্লা সিটি নির্বাচন
সাক্কুর বিরুদ্ধে এবার 'বোমা' ফাটালেন এমপি বাহার

কুমিল্লা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২২ | ১২:০০ | আপডেট: ০৫ জুন ২০২২ | ১৪:৫৮
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার পর থেকে নৌকার প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত ও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার সাবেক কুসিক মেয়র এবং স্ব্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কুর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আসছেন। এবার সদর আসনের এমপি ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজি আ. ক. ম. বাহাউদ্দিন বাহার দলীয় একটি সভায় সাক্কুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির 'বোমা' ফাটালেন। সাক্কু একটি বহুতল বাণিজ্যিক ভবনের নকশা অনুমোদনের ৮০ লাখ টাকার ঘুষ নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন বাহার।
শনিবার রাতে কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে নগরীর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এমপি বাহার। বৈঠকে তিনি নির্বাচন নিয়ে নেতাকর্মীদের নানা নির্দেশনা দেন। সেখানে উপস্থিত দলীয় একাধিক নেতাকর্মী বলেন, আলোচনার এক পর্যায়ে এমপি বাহার সাক্কুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির বেশ কিছু অভিযোগ তুলে ধরেন। বাহার বলেছেন, নগরীর প্রাণকেন্দ্র কান্দিরপাড় দীপিকা সিনেমা হলের জায়গায় নির্মিত রূপায়ণ টাওয়ারের নকশা অনুমোদনের জন্য ৮০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েও নকশা অনুমোদনে টালবাহানা করেন সাক্কু। পরে বিষয়টি তাঁকে রূপায়ণ গ্রুপের মালিকপক্ষ জানানোর পর তিনি উদ্যোগ নিয়ে সিটি করপোরেশন থেকে নকশা অনুমোদনের ব্যবস্থা করেন।
এমপি বাহার আরও বলেন, শুধু রূপায়ণ টাওয়ার নয়, নগরীর সব টাওয়ারের নকশা অনুমোদন করতে সাক্কু ঘুষ নিয়েছেন। দরপত্রের অনিয়ম নিয়ে এমপি বাহার বলেন, আমি চেষ্টা-তদবির করে স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর সহায়তায় সিটি উন্নয়নে অর্থ বরাদ্দ এনেছি, অথচ এসব অর্থ সে (সাক্কু) লুটপাট করতে চেয়েছিল। আমি যখন ভারতে তখন নির্বাচনের তপশিলের আগে তড়িঘড়ি করে সে ৪১২ কোটি টাকার দরপত্র আহ্বান করে, যা সে করতে পারে না। বিষয়টি জানতে পেরে আমি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দরপত্র বাতিলের ব্যবস্থা করেছি। সে (সাক্কু) টেন পার্সেন্ট খাওয়ার জন্য এ দরপত্র আহ্বান করেছিল।
বৈঠকে নৌকার প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক আওয়ামী লীগ নেতা জহিরুল ইসলাম সেলিম ও আদর্শ সদর উপজেলা চেয়ারম্যানসহ দলীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এ ব্যাপারে এমপি বাহারের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। তবে মনিরুল হক সাক্কু বলেন, তিনি (বাহার) আমার বড় ভাইয়ের মতো। আমরা তো একসঙ্গে নগরীর উন্নয়ন কাজ করেছি, আগে তো কখনও তাঁকে এসব কথা বলতে শুনিনি। এখন নির্বাচন আসায় এসব কথা বলার কারণ কী বুঝতে পারছি না।