ঢাকা মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪

ওসমানী হাসপাতালে আবারও ধর্মঘটে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা

ওসমানী হাসপাতালে আবারও ধর্মঘটে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা

বিক্ষোভ করেছেন এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। ছবি: সিলেট ব্যুরো

সিলেট ব্যুরো

প্রকাশ: ০২ আগস্ট ২০২২ | ০৮:১৪ | আপডেট: ০২ আগস্ট ২০২২ | ০৯:৪২

সিলেটে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আবারও ধর্মঘট শুরু করেছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। 

মঙ্গলবার দুপুর ২টা পর্যন্ত বেঁধে দেওয়া আল্টিমেটাম শেষেও দাবি পূরণ না হওয়ায় তারা বিকেল ৫টা থেকে ফের আন্দোলন শুরু করেছেন। 

অবশ্য জরুরি বিভাগ ও হৃদরোগ বিভাগের গুরুত্ব বিবেচনায় তারা দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. আহমদ মুন্তাকিম চৌধুরী। 

এদিকে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করছেন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরাও। কলেজ মিলনায়তনে দুপুর আড়াইটা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত সমঝোতা বৈঠক ব্যর্থ হওয়ার পর নতুন করে আন্দোলন শুরু হয়।

আন্দোলনকারীদের দাবি অনুযায়ী, হাসপাতালে কর্মরত অবস্থায় নারী ইন্টার্ন চিকিৎসককে উত্ত্যক্ত ও মেডিকেল কলেজের দুই শিক্ষার্থীর ওপর হামলার ঘটনায় পৃথক মামলা হয়েছে। এই মামলায় মহানগর আওয়ামী লীগ নেতার ভাতিজাকে মূল অভিযুক্ত করা হয়েছে। ইতিপূর্বে ওয়ার্ড ছাত্রলীগের নেতাসহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। 

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ জানান, দুই শিক্ষার্থীকে ‘হত্যা চেষ্টার’ অভিযোগে মামলায় ৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৩-৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। নারী ইন্টার্ন চিকিৎসককে উত্ত্যক্তের ঘটনায় একজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৩-৪ জনকে আসামি করা হয়।

এর আগে সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে ওসমানী হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়াকে অবরুদ্ধ করেন আন্দোলনরত ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার আজবাহার আলী শেখের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এছাড়া মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালান। প্রশাসনের আশ্বাসে সোমবার দিবাগত রাত ৩টায় ধর্মঘট স্থগিত করে জড়িতদের গ্রেফতারে মঙ্গলবার দুপুর ২টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন তারা।

এদিকে মূল আসামিরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় ফের ধর্মঘট শুরুর সিদ্ধান্ত নেয় ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ। 

এ প্রসঙ্গে ডা. মুন্তাকিম চৌধুরী বলেন, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের কথা থাকলেও তা হয়নি। ফলে বাধ্য হয়ে আমাদের আন্দোলনে যেতে হয়েছে। দাবি পূরণ হলেই ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হবে।

অপরদিকে মেডিকেল কলেজে বহিরাগত প্রবেশ বন্ধ, শিক্ষার্থী ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ওসমানী মেডিকেল কলেজের পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী অমিত হাসান সানি। 

তবে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যসেবা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসমানী হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া।

সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার আজবাহার আলী শেখ বলেন, ইতোমধ্যে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জড়িত বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

whatsapp follow image

আরও পড়ুন

×