রাজশাহীতে টিসিবির পচা পেঁয়াজ
‘হাঁটলে রাস্তার লোকেরাও গন্ধের কারণে পেটাবে’
ছবি- সংগৃহীত।
রাজশাহী ব্যুরো
প্রকাশ: ০২ আগস্ট ২০২২ | ০৯:৩১ | আপডেট: ০২ আগস্ট ২০২২ | ০৯:৩১
রাজশাহীতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) সুলভ মূল্যে বিক্রি করা পেঁয়াজ পচা বলে অভিযোগ করেছেন গ্রাহকরা। তাঁরা বলছেন, খাবার অযোগ্য এসব পেঁয়াজ বাধ্যতামূলকভাবে অন্য পণ্যের সঙ্গে নিতে হচ্ছে। আর ডিলারদের অভিযোগ, টিসিবি জোর করে তাঁদের পচা পেঁয়াজ গছিয়ে দিচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার থেকে রাজশাহী জেলায় ১ লাখ ৯৯ হাজার ১৪০টি ফ্যামিলি কার্ডধারীর মধ্যে পণ্য বিক্রি শুরু করে টিসিবি। শহরে ৯৮ এবং জেলার ৯৮ জন ডিলার বিভিন্ন পয়েন্টে এসব পণ্য দিচ্ছেন। এখান থেকে ১১০ টাকা দরে দুই লিটার সয়াবিন তেল, ৫৫ টাকা কেজিতে চিনি, ৬৫ টাকা কেজি হিসাবে দুই কেজি মসুর ডাল এবং ২০ টাকা কেজি দরে দুই কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে। তেল, মসুর ডাল ও চিনির মান ভালো হলেও পেঁয়াজ দেওয়া হচ্ছে পচা। তবে প্যাকেজ হওয়ায় নিতে না চাইলেও পচা পেঁয়াজই কিনতে হচ্ছে সেবাগ্রহীতাদের।
সকালে নগরীর ১২ নম্বর ওয়ার্ডে টিসিবির ডিলার আহসান হাবিবের বিক্রয় পয়েন্টে পচা পেঁয়াজ বিক্রি করতে দেখা গেছে। দীনেশ নামের এক গ্রাহক বলেন, আমরা গরিব মানুষ। সরকার আমাদের অল্প দামে পণ্য দিচ্ছে। তবে এসব পচা পেঁয়াজ নিয়ে আমরা কী করব। এগুলো খাবার অযোগ্য। পচেগলে গেছে। হাবিবুর রহমান নামের আরেক ক্রেতা বলেন, পেঁয়াজ না নিলে অন্য পণ্য দেবে না। তাই বাধ্য হয়ে নিতে হচ্ছে। তবে এই পেঁয়াজ ড্রেনে ফেলে দিতে হবে। গন্ধ বের হচ্ছে। হাঁটলে রাস্তার লোকেরাও গন্ধের কারণে পেটাবে।
টিসিবির ডিলার আহসান হাবিব অভিযোগ করেন, টিসিবির গোডাউনের সব পেঁয়াজই পচা। তারা না নিলে লাইসেন্স বাতিল করে দেবে। এ জন্য তারাও বাধ্য হয়েই নিয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা বলেছি, এসব পেঁয়াজ পচা, চলবে না। কিন্তু টিসিবি বাধ্য করেছে নিতে। গলা পেঁয়াজ ওজনেও কমে গেছে। এ কারণে আমাদের এমনিতেই লোকসান হবে। পচা পেঁয়াজের কারণে গোটা বাড়িও দুর্গন্ধ হয়ে গেছে।
টিসিবির আঞ্চলিক পরিচালক শহিদুল ইসলাম বলেন, ভারত থেকে আসতে দীর্ঘ সময় লাগায় কিছু পেঁয়াজ পচে গেছে। তবে তা খুব বেশি নয়। বর্ষার কারণে পলিথিন ব্যাগে পেঁয়াজ ঘেমে গেছে বলে পচা মনে হচ্ছে। আর গ্রাহকরা তো সুযোগ পেলেই অভিযোগ করেন।