বাতিল হলো যশোরে ৩ উপজেলা আ’লীগের ‘পকেট কমিটি’
যশোর অফিস
প্রকাশ: ০২ আগস্ট ২০২২ | ০৯:৫৪ | আপডেট: ০২ আগস্ট ২০২২ | ০৯:৫৪
বাতিল হয়ে গেল জেলা সভাপতির একতরফা স্বাক্ষরে ঘোষিত যশোরের মনিরামপুর, ঝিকরগাছা ও বাঘারপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের 'পকেট কমিটি'। মঙ্গলবার দলের কেন্দ্রীয় কমিটির খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হকের ধানমন্ডির অফিসে আহূত জরুরি সভায় কথিত ওই কমিটিগুলো বাতিল করা হয়।
সভা শেষে এদিন রাতে পাঠানো জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুজিবুদ্দৌলা সরদার কনক স্বাক্ষরিত সংবাদবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, 'আওয়ামী লীগের যশোর জেলাধীন কয়েকটি উপজেলা শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি সংবাদমাধ্যম ও ফেসবুকে প্রকাশিত হয়। সংগঠনের গঠনতন্ত্র যথাযথ অনুসরণ না করে ওই কমিটি ঘোষণা করায় তা নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়। এ বিভ্রান্তি অবসানের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত) বি এম মোজাম্মেল হকের আহ্বানে জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দ এবং সংসদ সদস্যদের উপস্থিতিতে বিস্তারিত আলোচনা করে গণমাধ্যম ও ফেসবুকে প্রচারিত ওই কমিটিগুলো বাতিল করা হয়।'
এ নিয়ে অপপ্রচার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, 'সেপ্টেম্বর মাসে গঠনতন্ত্র অনুসারে এসব ইউনিটের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে।'
উল্লেখ্য, ৩১ জুলাই শনিবার রাতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন স্বাক্ষরিত ওই তিনটি উপজেলা কমিটির পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হয়। যেখানে স্বাক্ষর ছিল না জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার এমপির। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলে নানা বিতর্ক।
নির্বাহী কমিটির সভা ও সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের যৌথ স্বাক্ষর ছাড়া কমিটি অনুমোদন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ত্যাগী ও বঞ্চিত নেতারা। অভিযোগ ওঠে, দলীয় গঠনতন্ত্র উপেক্ষা করে সুযোগসন্ধানী একটি পক্ষকে পুনর্বাসনের মধ্য দিয়ে 'পকেট কমিটি' করেন জেলা সভাপতি। এ নিয়ে পরস্পরকে দোষারোপ করে বক্তব্য দেন জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
মঙ্গলবার বিকেলে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হকের ধানমন্ডির অফিসে অনুষ্ঠিত এ-সংক্রান্ত সভায় নেতৃবৃন্দের তোপের মুখে পড়েন জেলা সভাপতি। শুরুতেই তাঁর প্রতি উত্তেজিত হন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুল মজিদ ও অ্যাডভোকেট আলী রায়হান এবং জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক ও যশোর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা ফরিদ আহম্মেদ চৌধুরী। একপর্যায়ে সভাপতি দুঃখ প্রকাশ করেন। এ সভায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, যশোর-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিনও উপস্থিত ছিলেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও যশোর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা ফরিদ আহম্মেদ চৌধুরী বলেন, দীর্ঘ আলোচনা শেষে সন্তোষজনকভাবে সভা শেষ হয়েছে। শোকের মাস আগস্ট পার হওয়ার পর খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকসহ অন্য নেতৃবৃন্দের নির্দেশনা অনুযায়ী গঠনতন্ত্র মেনে যোগ্য নেতাদের নিয়ে জেলার সব ইউনিটের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে।
- বিষয় :
- আওয়ামী লীগ
- কমিটি