ঢাকা মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪

বাংলাবান্ধা দিয়ে অনুমতি মিলছে না ভারত যাওয়ার

বাংলাবান্ধা দিয়ে অনুমতি মিলছে না ভারত যাওয়ার

সফিকুল আলম, পঞ্চগড়

প্রকাশ: ০২ আগস্ট ২০২২ | ১২:০০ | আপডেট: ০৩ আগস্ট ২০২২ | ০০:৩১

পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে যাওয়ার অনুমতি পাচ্ছেন না বাংলাদেশিরা। ভিসার আবেদনে বাংলাবান্ধা-ফুলবাড়ী ইমিগ্রেশন দিয়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করলেও অনুমতি দেওয়া হচ্ছে বুড়িমারী অথবা বেনাপোল দিয়ে যাওয়ার। সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো ঘোষণা ছাড়াই এমন ঘটনায় বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক, ব্যবসায়ী, রোগীসহ নানা কারণে ভারত ভ্রমণকারীরা বিপাকে পড়েছেন।

দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় গত ৭ এপ্রিল থেকে আবার ভারত যাতায়াতের জন্য ভ্রমণ ভিসাসহ সব ধরনের ভিসা চালু করা হয়। কিন্তু পঞ্চগড়সহ আশপাশের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দারা ভারতীয় ভিসার আবেদনে বাংলাবান্ধা-ফুলবাড়ী রুট চেয়ে আবেদন করেন। কিন্তু ভিসা দিলেও বাংলাবান্ধা-ফুলবাড়ী ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। বাধ্য হয়ে ভ্রমণকারীদের অতিরিক্ত অর্থ ও সময় ব্যয় করে অন্য চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে যেতে হয়। এ ঘটনায় ভারতগামী বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিসার আবেদন কমে গেছে। প্রায় চার মাস ধরে অলস সময় পার করছেন ইমিগ্রেশন পুলিশসহ সংশ্নিষ্টরা।

সোমবার সরেজমিন বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ঘুরে দেখা গেছে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যাতায়াতকারী নেই বললেই চলে। উভয় দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকলেও বন্দরের ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে মানুষ যাতায়াত করতে
দেখা যায়নি।

বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, স্বাভাবিক সময় এই চেকপোস্ট দিয়ে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৬০০ ভ্রমণকারী যাতায়াত করতেন। বর্তমানে একশরও কম যাতায়াত করেন। এখন ভারতীয় ভিসায় এই চেকপোস্ট উল্লেখ আছে- এমন ভ্রমণকারীরাই কেবল যাতায়াত করতে পারছেন।

পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা-ফুলবাড়ী ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট পার হলেই ভারতের পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম শহর শিলিগুড়ি। শিলিগুড়ি হয়ে নেপাল, ভুটান, ভারতের সিকিম, দার্জিলিংসহ বিভিন্ন পর্যটন স্পটের যোগাযোগ বেশ সহজ। অন্য যে কোনো স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে এসব এলাকায় যাতায়াত ব্যয়বহুল এবং সময়ও বেশি লাগে। এজন্য এই স্থলবন্দর চেকপোস্ট অল্প দিনেই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

বাংলাবান্ধা আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি আব্দুল লতিফ তারিন বলেন, এই রুটে ইমিগ্রেশন চালুর দাবিতে আমরা সংবাদ সম্মেলন করেছি। সংশ্নিষ্টদের সঙ্গে দফায় দফায় যোগাযোগ করা হচ্ছে।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে কোনো সমস্যা নেই। আগের মেডিকেল ভিসা বা অন্য যে কোনো ভিসায় যাঁদের বাংলাবান্ধা চেকপোস্ট উল্লেখ আছে, তাঁরা এই রুট দিয়ে যাতায়াত করছেন। এই রুট ব্যবহারের অনুমতির বিষয়টিও ভারতীয় কর্তৃপক্ষের এখতিয়ারভুক্ত।

whatsapp follow image

আরও পড়ুন

×