পূজা উদযাপন পরিষদ
বিবাদ মেটানোর সভায় হাতাহাতি

নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৭ আগস্ট ২০২২ | ০৫:১০ | আপডেট: ০৭ আগস্ট ২০২২ | ০৫:১০
ফরিদপুরের নগরকান্দায় উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভায় হট্টগোল ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ-সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। রোববার বেলা ১১টায় উপজেলা পরিষদ সম্মেলনকক্ষে ঘটনাটি ঘটে। সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও নগরকান্দা পৌর মেয়র উপস্থিত ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, নগরকান্দা পূজা উদযাপন পরিষদের দুটি কমিটি। যার একটির সভাপতি বিধান চন্দ্র বিশ্বাস ও অপরটির সভাপতি মনোরঞ্জন বিশ্বাস। দুটি কমিটির জন্য বিভিন্ন সময় প্রশাসনিক ও সামাজিক জটিলতা তৈরি হয়। তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দুই পক্ষকে নিয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করেন।
উদ্দেশ্য ছিল দুই পক্ষের বিবাদ মিটিয়ে সবার সঙ্গে আলোচনা করে গ্রহণযোগ্য একটি কমিটি গঠন করা। সেই লক্ষ্যে সভার আয়োজন করা হয়। কিন্তু সভা চলাকালীন বিধান চন্দ্র বিশ্বাস ও মনোরঞ্জন বিশ্বাসের সমর্থকেরা কথা-কাটাকাটি থেকে শুরু করে হাতাহাতিতে লিপ্ত হয়। পরে ইউএনও এবং উপস্থিত আনসার সদস্যরা তাদের নিবৃত করেন। এর ফলে কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই সভা শেষ হয়।
পূজা উদযাপন কমিটির এক গ্রুপের সভাপতি বিধান চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, আমরা একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করি। যা ২০২১ সালের ৭ অক্টোবর তারিখে জেলা কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন। এরপর থেকে আমরা পরিষদটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করে আসছি। মনোরঞ্জন বিশ্বাস একটি ভূয়া কমিটি দেখিয়ে আমাদের কাজকে বিভিন্নভাবে বাধা সৃষ্টি করছেন।
এ বিষয়ে মনোরঞ্জন বিশ্বাসের যোগাযোগের চেষ্টা করেও তা সম্ভব হয়নি। নগরকান্দা পৌরসভার মেয়র ও পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি নিমাই চন্দ্র সরকার জানান, ইউএনও অত্যন্ত ভালো একটা উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু সেটি সফল হয়নি। যেটি ঘটেছে তা ন্যাক্কারজনক একটি ঘটনা। সভা চলাকালীন বিধান বিশ্বাস ও মনোরঞ্জন বিশ্বাসের সমর্থকরা কথা-কাটাকাটি থেকে হাতাহাতিতে লিপ্ত হন। বিষয়টি নিয়ে এখন কোনো সমস্যা নেই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম ইমাম রাজী টুলু এই বিষয়ে বলেন, আমি উপজেলায় সদ্য যোগদান করেছি। এখনো সবাইকে সেভাবে চিনি না। এখানে পূজা উদযাপন পরিষদের দুটি কমিটি, প্রতিদিন দুই পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে নালিশ করে। আবার তারাই আমাকে বলেছে সবাইকে নিয়ে বসে দুই পক্ষকে এক করে দিতে। সেই লক্ষ্যেই উপজেলায় সভার আয়োজন করা হয়। কিন্তু হট্টোগোলের কারণে কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই সভা শেষ করতে হয়।