বেশিরভাগই হাতুড়ে চিকিৎসক
দাঁত নিয়ে যত কারবার, প্রশাসন নির্বিকার

মিজানুর রহমান রনি, উজিরপুর (বরিশাল)
প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২২ | ১২:০০ | আপডেট: ২৪ আগস্ট ২০২২ | ২৩:৪৩
১০ ফুট বাই ১২ ফুট। চাল ও বেড়া টিনের। মেঝে কাঠের। এমন দুটি কক্ষ নিয়েই একটি ডেন্টাল ক্লিনিক। তামিম ডেন্টাল কেয়ার নামে এ ক্লিনিকের অবস্থান বরিশালের উজিরপুর উপজেলার শোলক ইউনিয়নের ধামুরা বন্দরে।
একই বন্দরের পল্লী ডেন্টাল কেয়ারেরও প্রায় একই অবস্থা। সেখানেও দুটি কক্ষ। দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ সমান-১২ ফুট। এটি টিন শেডের।
উপজেলায় এমন ২২টি ডেন্টাল ক্লিনিকের সন্ধান মিলেছে, যেগুলোর বেশির ভাগেরই এমন চিত্র। প্রায় একই আয়তনের দুই কক্ষ নিয়ে গড়ে উঠেছে এগুলো।
এই প্রতিষ্ঠানগুলোর একটিরও সরকারি অনুমোদন নেই। এমনকি এখানে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের বেশির ভাগই হাতুড়ে চিকিৎসক অথবা শর্ট কোর্স করে দন্তচিকিৎসক বনে গেছেন।
উজিরপুর পৌরসভাসহ উপজেলার নয়টি ইউনিয়নে প্রতিষ্ঠানগুলোর অস্তিত্ব। বছরের পর বছর তারা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। ২২টির মধ্যে ১৩টির নামই সিভিল সার্জন অফিসের তালিকায় নেই। তাদের তালিকা অনুযায়ী উজিরপুরে ডেন্টাল ক্লিনিকের সংখ্যা ৯টি।
এ প্রতিষ্ঠানগুলো নিবন্ধনভুক্ত হতে ২০২০ সালে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় নোটিশ দেয়। কিছু ক্লিনিকের মালিক সিভিল সার্জন অফিসে গিয়ে কাগজপত্র তৈরির জন্য সময় চেয়েছেন। এরপর আর কোনো অগ্রগতি নেই।
নীতিমালা অনুযায়ী, ডেন্টাল ক্লিনিক পরিচালনা করতে হলে বিডিএস চিকিৎসক ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত টেকনিশিয়ান নিয়োগ, প্রয়োজনীয় রি-এজেন্ট, সিভিল সার্জন কার্যালয় ও স্বাস্থ্য বিভাগের বৈধ অনুমতিপত্র এবং এক হাজার টাকার ট্রেজারি চালান জমা আবশ্যক। অথচ এর একটি শর্তও পূরণ করেনি এসব চিকিৎসালয়।
সিভিল সার্জন অফিসের তালিকায় যে ৯টির নাম রয়েছে সেগুলো হলো- পৌরসভার সাজ্জাদ ডেন্টাল কেয়ার, হারতা বন্দরের সুমন ডেন্টাল কেয়ার, মা আরতি ডেন্টাল কেয়ার, কারিব ডেন্টাল কেয়ার, গ্রিন লাইফ, শোলক ইউনিয়নের ধামুরা বন্দরের নূর মেডিকেল ডেন্টাল কেয়ার, পল্লী ডেন্টাল কেয়ার, জল্লা ইউনিয়নের গাইন ডেন্টাল কেয়ার ও ওটরা ইউনিয়নের হাবিবপুর বাজারের মাহাবুল ডেন্টাল কেয়ার।
আর যে ১৩ প্রতিষ্ঠানের নাম তালিকায় নেই, সেগুলো হলো- হারতা বন্দরের মা ডেন্টাল কেয়ার, গ্রামীণ ডেন্টাল কেয়ার, শোলক ইউনিয়নের ধামুরা বন্দরের মোল্লা ডেন্টাল কেয়ার, শরীফ ডেন্টাল কেয়ার, তামিম ডেন্টাল কেয়ার, সাতলা ইউনিয়নের মিঠু ডেন্টাল কেয়ার, জল্লা ইউনিয়নের কারফায় শিখা ডেন্টাল কেয়ার, মা মনি ডেন্টাল কেয়ার, বড়াকোঠা ইউনিয়নের ডাবেরকুল বাজারে ইসলামিয়া ডেন্টাল কেয়ার, ওটরা ইউনিয়নের মাহাতাব ডেন্টাল কেয়ার, বামরাইল ইউনিয়নের জহুরা ডেন্টাল কেয়ার, শিকারপুর ইউনিয়নের জয়শ্রী বাসস্ট্যান্ডে শাহীরা ডেন্টাল কেয়ার ও গুঠিয়া ইউনিয়নের অনন্যা ডেন্টাল কেয়ার।
গত ২১ জুলাই একটি নোটিশে আইনকানুন না মেনে অনুমোদন ছাড়াই চালু রাখায় ছয়টি প্রতিষ্ঠানকে বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। নোটিশে স্বাক্ষর ছিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শওকত আলীর। এই প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- সাজ্জাদ ডেন্টাল কেয়ার, মা-মনি ডেন্টাল কেয়ার, শরীফ ডেন্টাল কেয়ার, মোল্লা ডেন্টাল কেয়ার, সুমন ডেন্টাল কেয়ার ও গাইন ডেন্টাল কেয়ার। নোটিশ দেওয়ার পরে গাইন ডেন্টাল কেয়ার ও সাজ্জাদ ডেন্টাল কেয়ার বন্ধ দেখা যায়। বাকিগুলো চালু রয়েছে।
কীভাবে কেন্দ্রগুলো চালু রাখা হয়েছে জানতে চাইলে এসব প্রতিষ্ঠানের মালিকদের পাল্টা প্রশ্ন- নির্দিষ্টভাবে শুধু তাঁদের ছয়টি প্রতিষ্ঠান কেন বন্ধ হবে? হলে ২২টিই বন্ধ হওয়ার কথা। কেননা তাঁদের যে কারণে বন্ধের নোটিশ দেওয়া হয়েছে, সেই একই দোষে দুষ্ট সব ডেন্টাল কেয়ার।
উপজেলার সবচেয়ে বেশি দন্তচিকিৎসালয় হারতা ও শোলকে। এ দুই ইউনিয়নেই এসব প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১১। এগুলোর একটিতেও পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য কোনো যন্ত্রপাতি বা ল্যাবরেটরি নেই। নেই বিডিএস চিকিৎসক ও দক্ষ টেকনিশিয়ান। তবে যাঁরা আছেন, তাঁরা দাঁত তোলা থেকে শুরু করে অস্ত্রোপচার সবই করছেন। তিন বা ছয় মাসের শর্ট কোর্সের প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজের নামের আগে 'ডেন্টিস্ট' শব্দটি যোগ করে চিকিৎসা দিচ্ছেন তাঁরা।
শোলক ইউনিয়নের ধামুরা বন্দরে পল্লী ডেন্টাল কেয়ারে গিয়ে দেখা যায়, স্বত্বাধিকারী বাচ্চু মিয়া তাঁর চেম্বারে এক রোগীর চিকিৎসা দিচ্ছেন। তিনি বিডিএস সার্জন কিনা প্রশ্নে বলেন, বিডিএস সার্জন নন। তবে শর্ট কোর্স করে দীর্ঘ ২২ বছর ধরে চিকিৎসা দিচ্ছেন।
একই বন্দরে ২৫ বছর ধরে নূর মেডিকেল ডেন্টাল কেয়ার নামের প্রতিষ্ঠানটি পরিচালিত হচ্ছে। এ দীর্ঘ সময়ে তাদের নিবন্ধনের কাগজ যাচাই-বাছাই করতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বা সিভিল সার্জন অফিস থেকে কেউ এসেছেন কিনা জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারীর ছেলে ও 'দাঁতের চিকিৎসক' তরিকুল ইসলাম বলেন, ২০২০ সালে সিভিল সার্জন অফিস থেকে নোটিশ দিয়েছে। এর আগে কেউ আসেনি। নোটিশ পাওয়ার পরে সিভিল সার্জন অফিসে যোগাযোগ করে কিছু কাগজপত্র জমা দিয়েছেন। কিন্তু এখনও সরকারি অনুমোদন পাননি।
তামিম ডেন্টাল কেয়ারও একই বন্দরে অবস্থিত। এটির স্বত্বাধিকারী মাহাবুল হোসেন খান ১৩ বছর নূর মেডিকেল ডেন্টাল কেয়ারের স্বত্বাধিকারী পল্লিচিকিৎসক আব্দুল করিমের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছেন। গত ছয়-সাত বছর ধরে তিনি নিজেই তামিম ডেন্টাল কেয়ার নামে সাইনবোর্ড টানিয়ে রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছেন। এ প্রতিষ্ঠান চালানোর জন্য তাঁর বৈধ কোনো কাগজ নেই বলে স্বীকার করেন মাহাবুল।
হারতা বন্দরের মা আরতি ডেন্টাল ক্লিনিকের স্বত্বাধিকারী বিশ্বজিৎ পান্ডের ভাষ্য, বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে তিন মাসের প্রশিক্ষণ কোর্স করেছেন তিনি। কিন্তু তাঁর লাইসেন্স নেই। দীর্ঘ আট বছর ধরে তিনি এ কাজ করে আসছেন। সিভিল সার্জন অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করেই প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছেন।
একই বন্দরে অবস্থিত সুমন ডেন্টাল কেয়ার। এটির স্বত্বাধিকারী মিজানুর রহমান ২০০৭ সাল থেকে দাঁতের রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে আসছেন। তাঁর প্রতিষ্ঠানে বিডিএস চিকিৎসক নেই, তবে তিনি শর্ট কোর্সের ডিপ্লোমা ডিগ্রি নিয়ে নিজেই চিকিৎসা দিচ্ছেন। এভাবে চিকিৎসা দেওয়ার বৈধতা আছে কিনা প্রশ্নে তিনি বলেন, 'নাই, কিন্তু আমরা করব কী? আমরা তো এই পেশায় আছি, এখন যাব কোথায় বলেন?'
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করতে কেউ আসেন কিনা জানতে চাইলে মিজানুর রহমান বলেন, প্রতি বছর সিভিল সার্জন অফিস থেকে নোটিশ দেয়। এরপর তাঁরা অফিসে গিয়ে দেখা করে কথা বলে আসেন। কী কথা বলে আসেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'সবকিছু এভাবে বলা ঠিক না। আপনার সঙ্গেও কথা বলব। ভাই, দয়া করে কিছু লেইখেন না।'
একই বন্দরের কারিব ডেন্টাল কেয়ারে কোনো বিডিএস চিকিৎসক ও ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারী সহকারী আছেন কিনা জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী জাকির হোসেন প্রশ্নটি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, তিনি দীর্ঘ ১২ বছর দাঁতের চিকিৎসা দিচ্ছেন। কোনো সমস্যা হয়নি। সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে মৌখিকভাবে অনুমতি নিয়ে ক্লিনিক পরিচালনা করছেন। মৌখিকভাবে অনুমতি কীভাবে নিয়েছেন জানতে চাইলে বলেন, এটা তাঁদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার।
গুঠিয়া ইউনিয়নের অনন্যা ডেন্টাল কেয়ারে দক্ষ টেকনিশিয়ান ও ল্যাবরেটরি নেই। এর স্বত্বাধিকারী সমির কুমার তালুকদার বলেন, তাঁর চিকিৎসালয়ের কোনো অনুমোদন লাগবে না। কারণ তিনি একজন বিডিএস সার্জন। তাঁর বিডিএস সার্জনের রেজিস্ট্রেশন নম্বরই অনুমোদন। এই নম্বর দিয়ে দেশের যে কোনো প্রান্তে তিনি ডেন্টাল কেয়ার পরিচালনা করতে পারবেন।
প্রতিষ্ঠানগুলোর অনুমোদন না থাকার বিষয়ে কথা হয় ঢাকার মিরপুরের গ্রিন লাইফ ডেন্টাল কেয়ারের স্বত্বাধিকারী বিডিএস সার্জন ফয়সাল মাহমুদের সঙ্গে। তিনি বলেন, চিকিৎসক, টেকনিশিয়ান, পরীক্ষার যন্ত্রপাতি না থাকলে সঠিক পদ্ধতিতে রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা দেওয়া যায় না। তা ছাড়া কেন্দ্রগুলো পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন না হলে রোগে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
শোলক ইউনিয়নের বাসিন্দা তহমিনা আক্তার দাঁতের মাড়ির সমস্যা নিয়ে শরীফ ডেন্টাল কেয়ারে গিয়েছিলেন। সেখানে ভুল চিকিৎসায় মাড়ি থেকে পুঁজ বের হতে থাকে। পরে অন্য চিকিৎসক দেখালে দাঁতই ফেলে দিতে হয়েছে।
একই ইউনিয়নের তানজিলা বেগম দাঁতে পোকা ধরায় দীর্ঘ ছয় মাস নূর মেডিকেল ডেন্টাল কেয়ারে চিকিৎসা নিয়েছেন। তবু দাঁতের ব্যথা কমেনি। পরে বরিশালে গিয়ে চিকিৎসক দেখানোর পর একটু সুস্থ হয়েছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা শওকত আলী জানান, ২০২০ সালের শুরুর দিকে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে তাঁদের কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছিল। সেই অনুযায়ী তদন্ত করে তাঁরা একটি ডেন্টাল ক্লিনিকেরও লাইসেন্সসহ কোনো কাগজ পাননি। পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য একই বছরের ফেব্রুয়ারিতে সিভিল সার্জন অফিসে রিপোর্ট পাঠান। এ ছাড়া চলতি বছরের ২১ জুলাই ইউএনওকে প্রতিষ্ঠানগুলো জরুরি ভিত্তিতে বন্ধ রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পরামর্শ দেন তিনি।
এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন মারিয়া হাসান বলেন, সব ডেন্টাল ক্লিনিকের আউটডোর হিসেবে নিবন্ধিত হওয়া বাধ্যতামূলক। অবশ্যই একজন বিডিএস ডিগ্রিধারী চিকিৎসককে সেখানে দায়িত্বে থাকতে হবে। ডেন্টাল ক্লিনিকের নিবন্ধন দেওয়ার এখতিয়ার সিভিল সার্জনের নেই। তাঁরা ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে রিপোর্ট পাঠাতে পারেন। অনুমোদন দেবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। যদি তদন্তে প্রমাণ হয় প্রতিষ্ঠানগুলোর অনুমোদন নেই, তাহলে ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে সেগুলো বন্ধসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাবেক সিভিল সার্জন মনোয়ার হোসেন বলেন, তাঁর জানামতে উজিরপুরে একটি ডেন্টাল কেয়ারেরও বৈধতা নেই। তিনি যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন এবং জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে জানিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছেন। এরপরও কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, তা তাঁর জানা নেই।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল শাখার পরিচালক বেলাল হোসেন বলেন, অবৈধ হাসপাতাল ও ক্লিনিকের বিষয়ে নজরদারির দায়িত্ব সংশ্নিষ্ট এলাকার সিভিল সার্জনের। তাঁরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারিহা তানজিন বলেন, অবৈধ ডেন্টাল কেয়ারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা তাঁদের কিছু জানাননি। স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তাঁদের জানালে তাঁরা ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেবেন।
উজিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মমিন উদ্দিন বলেন, এ বিষয়ে কেউ তাদের কিছু জানায়নি। কেউ জানালেও তাদের কিছু করার নেই। তবে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার পক্ষ থেকে সহায়তা চাইলে তাঁরা তা করবেন।
- বিষয় :
- ডেন্টাল ক্লিনিক
- উজিরপুর
- বরিশাল