ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪

বিদ্যালয়ের শৌচাগারে মিলল শিক্ষার্থীর লাশ

বিদ্যালয়ের শৌচাগারে মিলল শিক্ষার্থীর লাশ

প্রতীকী ছবি

শেরপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৬ আগস্ট ২০২২ | ১১:১০ | আপডেট: ২৬ আগস্ট ২০২২ | ১১:১০

শেরপুর সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের ভীমগঞ্জ ড্যাফোডিল প্রিপারেটরি অ্যান্ড হাইস্কুলের শৌচাগার থেকে রিমন হাসান নামের এক ছাত্রের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে লাশটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগী খুনুয়া মধ্যপাড়া গ্রামের সাগর আলীর ছেলে। নিহতের প্রেমিকার পরিবার অথবা বন্ধুদের কেউ হত্যাকাণ্ডটি ঘটাতে পারে বলে সন্দেহ ভুক্তভোগীর স্বজনদের।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরে রিমন (১৬)। রাত সাড়ে ৭টার দিকে নানির বাড়ি যাওয়ার কথা বলে বের হয়। সে রাত ৯টা পর্যন্ত ভীমগঞ্জ বাজারেই ছিল। এরপর শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে বিদ্যালয়ের শৌচাগারে গিয়ে রিমনের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন নৈশপ্রহরী। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান তার পরিবারের সদস্য, শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং পুলিশ। সুরতহালে নিহতের মাথা ও গলায় আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। তার স্বজনদের দাবি, সুরতহাল অনুযায়ী এটা স্পষ্ট যে, রিমনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।

নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, রিমনের সঙ্গে এক সহপাঠীর মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ নিয়ে কয়েকজন সহপাঠী এবং মেয়ের পরিবারের সঙ্গে বিরোধ চলছিল রিমনের। মেয়েটির পরিবার ধনাঢ্য। রিমনের বাবা দরিদ্র ভ্যানচালক। সম্পর্কটি কিছুতেই মানতে পারছিল না মেয়ের পরিবার। এ ছাড়া রিমনের বন্ধুদের মধ্যে কয়েকজন তার প্রেমিকাকে পছন্দ করত। তারাও রিমনের সম্পর্ক নিয়ে বিরোধিতা করে আসছিল। এ কারণে মেয়ের পরিবার অথবা বন্ধুদের একটি কিশোর গ্রুপ রিমনকে হত্যা করে থাকতে পারে।

রিমনের ভাই রুমান বলেন, ‘আমাদের সন্দেহ মেয়ের বাবা অথবা বন্ধুরা মিলে রিমনকে হত্যা করে লাশ স্কুলের ওয়াশরুমে ফেলে রাখে।’

শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল জানান, হত্যার ঘটনাটি রহস্যজনক। হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনে একাধিক টিম কাজ শুরু করেছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।

whatsapp follow image

আরও পড়ুন

×