ছাত্রদল নেতার মরদেহ উদ্ধারের ৫ বছর পর মামলার আবেদন
ছবি: ফাইল
চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ: ২৭ অক্টোবর ২০২২ | ০৮:৫৮ | আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০২২ | ০৯:০৩
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর পাড় থেকে পাঁচ বছর আগে ছাত্রদল নেতা নুরুল আলম ওরফে নুরুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তিন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হেফাজতে খুনের নালিশী মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আজিজ আহমেদ ভূঁইয়ার আদালতে মামলাটির আবেদন করেন কৃৃষকদলের কেন্দ্রীয় নেতা মিজানুর রহমান। শুনানি হলেও আদালত কোনো আদেশ দেননি।
অভিযুক্ত তিন পুলিশ কর্মকর্তা হলেন- তৎকালীন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার ও বর্তমান রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার নুরে আলম মিনা, রাউজান থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কেফায়েত উল্লাহ ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) শেখ মো. জাভেদ।
জানা যায়, ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম ওরফে নুরুর মরদেহ রাউজানের বাগোয়ান ইউনিয়নের কর্ণফুলী নদীর তীরের মদুনাঘাট এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। পরে পুলিশ জানিয়েছিল, নুরুর মাথায় গুলি এবং সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন আছে। হাত-পা রশি দিয়ে ও শার্ট দিয়ে চোখ বাঁধা অবস্থায় মরদেহ পাওয়া যায়। ওইদিন দুপুরে নুরুর মরদেহ শনাক্ত করেন তার স্ত্রী, বোন ও ভগ্নিপতি।
ওই সময় পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছিলেন, ২৯ মার্চ রাত ১২টার দিকে রাউজান থানার নোয়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) শেখ জাভেদসহ সাদা পোশাকের কয়েকজন পুলিশ নুরুকে নগরীর চন্দনপুরার বাসা থেকে তুলে নিয়ে যান। এরপর নুরুকে হত্যা করে মরদেহ নদীতে ফেলে দেন তারা। তবে রাউজান থানা পুলিশ বিষয়টি অস্বীকার করে।
বাদীর আইনজীবী মাহফুজার রহমান ইলিয়াস সমকালকে বলেন, 'অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন, ২০১৩ এর ১৩ (১), ৫ (২), ৪ (১) (ক) ও ১৫ (২) ধারায় অপরাধ আমলে নেওয়ার আরজি জানিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে আদালতে মামলার আবেদন করা হয়েছে। এখনো আদেশ পাইনি।'
সাবেক মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) বাদীর আইনজীবী আবদুস সাত্তার সমকালকে বলেন, 'নুরুকে হত্যার ঘটনায় কেন্দ্রীয় কৃষক দল নেতা মিজানুর রহমান বাদী হয়ে মামলার আবেদন করেছেন। আদালত আদেশ অপেক্ষমাণ রেখেছেন।'