ওএমএসের চাল কিনতে ভোর থেকেই লাইন
তাহিরপুর সদরের পূর্ব বাজারে খোলাবাজারে চাল নিতে ক্রেতার ভিড়-সমকাল
তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৭ অক্টোবর ২০২২ | ১২:০০ | আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০২২ | ২৩:১৮
তাহিরপুরে খোলাবাজার থেকে স্বল্পমূল্যে টিসিবির চাল (ওএমএস) কিনতে সকাল থেকে ভিড় করছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। পাঁচ কেজি চাল নিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে ডিলারের বিক্রয় কেন্দ্রে। তবে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় সবাইকে চাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ডিলারদের। অনেকে চাল না পেয়ে ফিরেও যাচ্ছেন। এ অবস্থায় চালের সরবরাহ বাড়ানোর চেষ্টা করছে সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
উপজেলা খাদ্য গুদাম সূত্রে জানা গেছে, গত ৩১ সেপ্টেম্বর থেকে তাহিরপুরে দু'জন ডিলার দৈনিক দুই টন করে চাল সরবরাহ পাচ্ছিলেন। এই চার টন চাল নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে মাথাপিছু পাঁচ কেজি করে কেজিপ্রতি ৩০ টাকা দরে বিক্রি করছিলেন। তবে গত ১৭ অক্টোবর থেকে প্রতি ডিলারকে এক টন করে চাল দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
তাহিরপুর বাজারের ওএমএস ডিলার মইনুল হক বলেন, শুরু থেকে ডিলারদের দুই টন করে চাল দেওয়া হলেও তখন ভিড় কম ছিল। তবে ১৭ অক্টোবর থেকে এক টন করে চাল দেওয়া হচ্ছে; মানুষের ভিড়ও বেড়েছে। সকাল থেকে ভিড় করছেন মানুষ।
গতকাল বৃহস্পতিবার চাল নিতে আসা সদর ইউনিয়নের ভাটি জামালগড় গ্রামের অভয়চরণের স্ত্রী শান্তিবালা বর্মণ বলেন, 'পাঁচ কেজি চালের জন্য সকালে না খেয়ে এসে লাইনে দাঁড়িয়েছি। ১০টায়ও চাল নিতে পারিনি।' এ চাল নিয়ে পরিবারের সদস্যদের তিনি রান্না করে খাওয়াবেন বলে জানান।
চিকসা গ্রামের হজরত আলীর মেয়ে জাসমিনা বেগম বলেন, আগে চাল পেতে কষ্ট হতো না। বরদল নতুনহাটির মহিম উদ্দিন বলেন, তিনি প্রায় দুই ঘণ্টা লাইনে ছিলেন। কিন্তু চাল না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। একই কথা বলেন মধ্য তাহিরপুর গ্রামের কালাম।
খাদ্য কর্মকর্তা বিএম মুশফিকুর রহমান বলেন, স্বল্প আয়ের লোকজনের ওএমএসের চাল কেনার চাহিদা খুব বেশি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রায়হান কবির বলেন, ডিলারদের দোকানে ক্রেতাদের প্রচণ্ড ভিড় দেখে বোঝা যাচ্ছে ওএমএসের চালের চাহিদা অনেক বেশি। বরাদ্দ বাড়ানোর বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করবেন বলে জানান তিনি।
- বিষয় :
- ওএমএসের চাল
- টিসিবির চাল