ঢাকা বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪

ব্রহ্মপুত্র খনন করে তোলা মাটি সরেনি জমি থেকে

ব্রহ্মপুত্র খনন করে তোলা মাটি সরেনি জমি থেকে

কাপাসিয়ার সনমানিয়ায় ক্ষেতে ফেলা বালু - সমকাল

মো. আ. কাইয়ুম, কাপাসিয়া (গাজীপুর)

প্রকাশ: ২৭ অক্টোবর ২০২২ | ১২:০০ | আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২২ | ০০:৪২

গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার কৃষক মো. কাশেম মিয়া। ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে চর সনমানিয়া এলাকায় প্রায় আট বিঘা জমি রয়েছে তাঁর। কিন্তু তিন বছর ধরে তাঁর জমির ওপর ফেলে রাখা হয়েছে নদ ড্রেজিংয়ের মাটি ও বালু। এতে চাষাবাদ করতে পারছেন না তিনি।

কাশেম মিয়ার ভাষ্য, তাঁদের জমিতে চাষাবাদ শুরু করতে নদ খনন করে ফেলা মাটি ও বালু সরানোর আবেদন করেছেন। কিন্তু অনুমতি দিচ্ছে না প্রশাসন। উল্টো জমি থেকে মাটি না সরাতে বলেছে।

একই অবস্থায় পড়েছেন উপজেলার কয়েকশ কৃষক। তাঁদের শত শত একর আবাদি জমি এখন চাষের অযোগ্য। তিন বছর আগে নরসিংদী পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তত্ত্বাবধানে ব্রহ্মপুত্র খনন হয়। এর প্রায় দশ কিলোমিটার পড়েছে কাপাসিয়ার টোক ইউনিয়নের আড়ালিয়া থেকে সনমানিয়া ইউনিয়নের ধানদিয়া পর্যন্ত। নদের নাব্য ফিরলেও কৃষকরা পড়েছেন বিপাকে।

স্থানীয়দের ভাষ্য, খনন করে তোলা মাটি ও বালু তীরবর্তী জমিতে রাখা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ মাটি ও বালু সরিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। তবে তা বাস্তবায়ন না হওয়ায় এসব এখন কৃষকদের জন্য গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

চর সনমানিয়ার কৃষক আকরাম হোসেনের প্রায় ১২ বিঘা, মনির হোসেনের ১০ বিঘা ও মো. শাহজাহান মিয়ার ৮ বিঘার মতো জমি একইভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাঁরা বলেছেন, উঁচু-নিচুভাবে এলোপাতাড়ি রাখা হয়েছে মাটি ও বালু। তাঁদের তিন ফসলি জমিতে বোরো ধানসহ নানা প্রকারের রবিশস্য ফলাতেন। প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার কারণে মাটি ও বালু সরাতে পারছেন না। ফলে আবাদের অযোগ্য হয়ে পড়েছে জমি। ক্ষতির মুখে পড়েছেন তাঁরা। দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান এ কৃষকরা।

এ বিষয়ে কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম গোলাম মোর্শেদ খান বলেন, ব্রহ্মপুত্র নদ খননের পর মাটি ও বালু দুই তীরেই রাখা হয়েছে। এ কারণে যদি উপজেলার কৃষকরা ফসল ফলাতে না পারেন, তবে তা সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করবেন।

whatsapp follow image

আরও পড়ুন

×