যুবদল নেতা বাবলু হত্যা: ২ জনের ফাঁসি, ৫ জনের যাবজ্জীবন

রাজবাড়ী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৮ নভেম্বর ২০২২ | ০৬:৫২ | আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২২ | ০৬:৫২
রাজবাড়ীর যুবদল নেতা ও ঠিকাদার সামসুল আলম বাবলু হত্যা মামলায় দু'জনের মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার রাজবাড়ী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রুহুল আমিন এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- রাজবাড়ী পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মীর এনাম আলী বাচ্চু ও শহরের বেড়াডাঙ্গা এলাকার সানোয়ার রহমান জকি।
যাবজ্জীবনপ্রাপ্তরা হলেন- বিনোদপুর লোকোসেড এলাকার মৃত জামাল মিয়ার ছেলে ইয়াকুব মিয়া, বাবলু মিয়ার ছেলে রানা মিয়া, কালুখালীর হোগলাডাঙ্গি গ্রামের আকমল বিশ্বাসের ছেলে রশিদ বিশ্বাস, রাজবাড়ী শহরের বেড়াডাঙ্গা এলাকার আজিজ দেওয়ানের ছেলে শাহীন দেওয়ান এবং আজিজ খানের ছেলে ফরহাদ হোসেন বাপ্পী।দণ্ডপ্রাপ্তদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আসামিদের মধ্যে জকি, রানা ও বাপ্পী পলাতক রয়েছেন।
চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দেওয়া হয়েছে। তোরা হলেন- খায়রুল মিয়া, উজ্জল মিয়া, আরিফ মণ্ডল ও আরিফ মিয়া। তাদের বাড়ি রাজবাড়ী শহরের বিভিন্ন এলাকায়।
হত্যার শিকার যুবদল নেতা বাবলু শহরের বিনোদপুর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। তার স্ত্রী ফারজানা আক্তার ডেইজি বর্তমানে রাজবাড়ী পৌরসভার সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর।
২০১২ সালের ২৩ আগস্ট মধ্যরাতে বন্ধুর বাড়ি থেকে দাওয়াত খেয়ে ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা বাবলুকে গুলি করে হত্যা করে। তাকে ছয়টি গুলি করা হয়। তিনদিন পর তার ভাই শহীদুল ইসলাম বাদী হয়ে রাজবাড়ী থানায় মামলা করেন। মামলায় কাউন্সিলর বাচ্চুর সঙ্গে বাবলুর জমি সংক্রান্ত বিরোধের কথা উল্লেখ করা হয়।
রাজবাড়ী জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলী উজীর আলী জানান, এটি চাঞ্চল্যকর মামলা। এতে ১৯ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। দীর্ঘ সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে আদালত রায় ঘোষণা করেছেন। রায়ে তারা সন্তুষ্ট।
মামলার বাদী শহীদুল ইসলাম বলেন, ১১ বছর মামলার জন্য আদালতে ঘুরেছি। অবশেষে রায় হলো। এ রায়ে তারা খুশি।
- বিষয় :
- যুবদল নেতা
- হত্যা
- হত্যা মামলা
- মৃত্যুদণ্ড
- কারাদণ্ড
- ঢাকা
- রাজবাড়ি