শতভাগ জিপিএ-৫ পেলো নাছিমা কাদির মোল্লা হাইস্কুল এন্ড হোমস

নরসিংদী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৮ নভেম্বর ২০২২ | ০৮:১১ | আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২২ | ০৮:১১
শতভাগ জিপিএ-৫ পেয়ে এবারও চমকে দিয়েছে নরসিংদীর নাছিমা কাদির মোল্লা হাইস্কুল এন্ড হোমস। এ বছর ২৬৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সবাই জিপিএ-৫ পেয়েছে।
সোমবার দুপুরে এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণার পর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক অসীম বাড়ৈ। এর আগে ২০১৭ ও ২০১৫ সালে শতভাগ জিপিএ-৫ পেয়েছিল এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি।
শিক্ষার্থীরা জানান, ‘করোনাকালে ভ্রাম্যমান পাঠদান, শিক্ষকদের অক্লান্ত পরিশ্রম, সঠিক দিক-নির্দেশনা, নিয়মিত ক্লাস, বিশেষ ক্লাস, গাইড টিচারের মাধ্যমে নিয়মিত হোম ভিজিট, টিউটেরিয়াল ও মাসিক পরিক্ষার কারণেই আমাদের এই ভাল ফলাফল অর্জন সম্ভব হয়েছে।’
নাছিমা কাদির মোল্লা হাইস্কুল এন্ড হোমসের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও থার্মেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুল কাদির মোল্লা বলেন, আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি বরাবরই ভাল ফলাফল করছে। এবার শতভাগ জিপিএ-৫ পেয়েছে। সারাদেশের সার্বিক ফলাফল বিশ্লেষণ করলে আশা করছি আমরা দেশসেরা অবস্থানে থাকব। মূলত নরসিংদীর মত মফস্বল শহরে মানসম্মত শিক্ষা প্রদানের অঙ্গীকার নিয়েই আমি ও আমার সহধর্মীনী নাসিমা বেগম স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেছিলাম। আমি সবসময় চেয়েছি সুশিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা মানব সম্পদে পরিনত হউক। যাতে আমাদের সমাজে সার্টিফিকেটধারী শিক্ষিত বেকার তৈরি না হয়। আজকের এই সাফল্য শুধু এই প্রতিষ্ঠানের একার না। এই সাফল্য পুরো নরসিংদীবাসীর। এরই লক্ষ্যে আমার পরিচালনাধীন মজিদ মোল্লা ফাউন্ডেশন শুধু আমাদের পরিচালনাধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়, জেলার প্রায় ৩১৫ টি স্কুল ও কলেজে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করনে সাধ্যমত কাজ করে যাচ্ছি।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক অসীম বাড়ৈ বলেন, ‘একটি বিদ্যালয়ের ভাল ফলাফলের মূল মন্ত্র হচ্ছে বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবদের মধ্যে সমন্বয়। আর আমাদের মূলমন্ত্র হচ্ছে আবদুল কাদির মোল্লা। স্যারের ইনোভেটিভ চিন্তা-চেতনা, দিকনির্দেশনায় আমাদের এই ফলাফল অব্যাহত আছে। স্যারই প্রথম করোনার সময়ে ভ্রাম্যমান পাঠদানের প্রবর্তন করেন।
এর আগে গত ২০২১ সালে ২৪৭ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে শতভাগ পাসসহ ২৩৭ জন জিপিএ ৫ পেয়েছিল। ২০২০ সালে ২১৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে শতভাগ পাসসহ ২০০ জন জিপিএ ৫ পেয়েছিল। ২০১৯ সালে ১৭১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে শতভাগ পাসসহ ১৬৮ জন জিপিএ ৫ পেয়েছিল। ২০১৮ সালে ১৩৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে শতভাগ পাসসহ ১৩৭ জন জিপিএ ৫ পেয়েছিল এবং ২০১৭ সালের এসএসসি পরিক্ষায় ১৬৪ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে সবাই জিপিএ ৫ পেয়েছিল।