জাবিতে প্রজাপতি মেলা
'উড়লে প্রজাপতি, প্রকৃতি পায় নতুন গতি'

জাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২ ডিসেম্বর ২০২২ | ০৯:০৬ | আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২২ | ০৯:০৬
প্রকৃতির মোহনীয় সৌন্দর্য প্রজাপতি। রঙিন ডানায় ভর করে চলে ফুল থেকে ফুলে। রং বৈচিত্র্যে প্রজাপতির তুলনা শুধুই প্রজাপতি। কিন্তু মন মাতানো এই পতঙ্গটি দিন দিন কমে যাচ্ছে।
সকালে মেলার উদ্বোধন করেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক। এ সময় তিনি প্রজাপতি বিষয়ক অ্যাওয়ার্ড দেন। এবারও প্রকৃতি বিষয়ক সংগঠন তরুপল্লব 'বাটারফ্লাই অ্যাওয়ার্ড' লাভ করেছে। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী দীপ্ত বিশ্বাস পেয়েছেন 'বাটারফ্লাই ইয়াং ইনথুসিয়াস্ট অ্যাওয়ার্ড'।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ মনিরুল হাসান খান, বার্ড ক্লাবের সভাপতি ইনাম আল হক প্রমুখ।
ক্যাম্পাসে মেলায় প্রজাপতিপ্রেমীরা ভিড় জমান। প্রজাপতি ছুঁয়ে দেখার ইচ্ছা সবার। ঢাকার মতিঝিল থেকে দুই মেয়েকে নিয়ে আসেন ব্যাংক কর্মকর্তা মুমতাহিনা। তিনি বলেন, ঢাকার কাছে হওয়ায় অতিথি পাখি ও প্রজাপতি মেলা দেখতে চলে এসেছি। মেয়েরা রোমাঞ্চিত।
মেলার আহ্বায়ক ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মনোয়ার হোসেন বলেন, প্রজাপতি ও সৌন্দর্য সংরক্ষণে ২০১০ সাল থেকে ক্যাম্পাসে প্রজাপতি মেলার আয়োজন করছি। প্রজাপতির সংখ্যা হ্রাস পাওয়া উদ্বেগের বিষয়। ঝোপঝাড় ও গাছপালা কাটা এবং জলবায়ুর কারণে প্রজাপতির সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে।
মেলায় দিনব্যাপী প্রজাপতি বিষয়ক পাপেট শো, ছবি আঁকা ও কুইজ প্রতিযোগিতা, আলোকচিত্র প্রদর্শনী, প্রজাপতির হাট দর্শন, ঘুড়ি ওড়ানো, বারোয়ারি বিতর্ক, প্রজাপতি চেনা প্রতিযোগিতা এবং প্রজাপতিবিষয়ক ডকুমেন্টারি প্রদর্শনীর আয়োজন ছিল।
আয়োজকরা জানান, পৃথিবীতে ১৬ গোত্রের প্রজাপতি রয়েছে। আমাদের দেশে ১০ গোত্রের প্রায় ৬০০ প্রজাতি ছিল। বর্তমানে তা কমে ৪৫০ প্রজাতিতে দাঁড়িয়েছে। আর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে ৫২ প্রজাতি। অথচ একযুগ আগে এখানে ছিল ১১০টি প্রজাতি।