ঢাকা মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫

কলমাকান্দা

ছড়িয়ে পড়েছে রোটা ভাইরাস

ছড়িয়ে পড়েছে রোটা ভাইরাস

কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছে রোটা ভাইরাস আক্রান্ত শিশুরা-সমকাল

কলমাকান্দা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০২ ডিসেম্বর ২০২২ | ১২:০০ | আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২২ | ০৫:৪১

কলমাকান্দা উপজেলায় ছড়িয়ে পড়েছে রোটা ভাইরাস। শীতকালে শিশুদের ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার জন্য দায়ী সংক্রামক রোটা ভাইরাস। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু এ ভাইরাসে বেশি আক্রান্ত হয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

গত বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২২ শিশু ভাইরাল ডায়রিয়া বা রোটা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তির খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে শিশুর সংখ্যা দাঁড়াল ৫০ জনে। তাদের মধ্যে ১৭ শিশু সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে।

গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে জানা গেছে, সম্প্রতি ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ১৭ শিশু চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে ফিরেছে। এ ছাড়া শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ৩৩ শিশু চিকিৎসাধীন রয়েছে।

কলমাকান্দা উপজেলা সদর ইউনিয়নের ছত্রংপুর গ্রামের শামীম আলম জানান, গত বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে ভাতিজা আব্দুল আহাদের ডায়রিয়া দেখা দেয়। শুক্রবার সকালে তাকে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। শরীরে স্যালাইন পুশ করা হয়েছে।

আরেক রোগীর অভিভাবক রংছাতি ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের মিন্টু মিয়া বলেন, তাঁর ছেলে মুজাহিদের বয়স ৮ মাস। বৃহস্পতিবার রাতে তার পাতলা পায়খানা দেখা দেয়। পরে শুক্রবার সন্ধ্যায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর দাবি, ভর্তির পর ওষুধের স্লিপ হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু হাসপাতাল থেকে ওষুধ না দেওয়ায় বাইরে থেকে কিনতে হয়েছে।

সেবিকা মনিষা কুবি ও চাঁপা দিও তারার ভাষ্য, হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীর ওষুধ রয়েছে। এগুলো স্যালাইনসহ রোগীদের মধ্যে সরবরাহ করা হচ্ছে।
জরুরি বিভাগে কর্মরত উপসহকারী মেডিকেল অফিসার আরিফুল ইসলাম জানান, প্রতিদিন গড়ে ১০-১২ জন ডায়রিয়া রোগী আসে। এর মধ্যে শিশুর সংখ্যা বেশি। তাদের মধ্যে কেউ প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে ফিরে গেছে। তবে শিশু রোগীর সংখ্যা গত দু'দিনে কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মুহাম্মদ আল মামুন সমকালকে বলেন, রোটা ভাইরাসের কারণে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়ে গেছে। ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু। আক্রান্ত রোগীদের সার্বক্ষণিক নজরে রাখা হচ্ছে। অনেক শিশু সুস্থ হয় বাড়ি ফিরে গেছে। হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণে ওষুধ রয়েছে। রোগীদের স্যালাইনসহ প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন

×