ঢাকা শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪

বেতনের জন্য মানসিক নির্যাতন

সেই ছাত্রীর দায়িত্ব নিলেন জেলা প্রশাসক

সেই ছাত্রীর দায়িত্ব নিলেন জেলা প্রশাসক

ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২২ | ১২:০০ | আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২২ | ০৩:৩১

বেতন দিতে না পারায় মানসিক নির্যাতনের শিকার সেই ছাত্রীর পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

স্কুলের বিশেষ ক্লাসের বেতন দিতে না পারায় গত ৮ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জে মর্গান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী সূচনা দাস নিতুকে ভূগোল পরীক্ষার মাঝ থেকে উঠিয়ে নিয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক লায়লা আক্তারের কক্ষে দাঁড় করিয়ে মানসিক নির্যাতন করা হয়। এ ছাড়া নির্বাচনী পরীক্ষায় তাকে তিন বিষয়ে ফেল করিয়ে দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ বলেন, তিনি বোর্ডের সঙ্গে কথা বলেছেন। মেয়েটি এসএসসি পরীক্ষা দিতে পারবে। তিনি ছাত্রীটিকে সামনের তিন-চার মাস ভালোভাবে পড়াশোনা করতে বলেছেন। যদি সে এসএসসি পরীক্ষায় নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারে, তাহলে তার এইচএসসি পর্যন্ত পড়াশোনার খরচ জেলা প্রশাসন থেকে বহন করার ব্যবস্থা করে দেবেন বলে জানান তিনি।

দশম শ্রেণির মানবিক বিভাগের ছাত্রী নিতু অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আজিজুল হকের কাছে এ বিষয়ে লিখিত আবেদনে করেছিল। আবেদন পাওয়ার পর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) বিষয়টি তদন্ত করতে একজন ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দেন। আজিজুল হক জানান, বিষয়টির তদন্ত চলছে। মর্গ্যান গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও সংশ্নিষ্ট শিক্ষককে ঘটনার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছিল। তাঁরা ঘটনা সম্পর্কে জানাতে দু'দিনের সময় চাইলে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাঁদের সময় দেওয়া হয়েছে।

নিতুর বাবা একটি প্রতিষ্ঠানের গার্ড। নগরীর চাষাঢ়ার ঋষিপাড়ায় তারা থাকে। নিতু টিউশনি করে পড়ার খরচ চালায়। নিতু জানায়, তার স্কুলের বেতন বকেয়া নেই, পরীক্ষার ফিও দিয়েছে নিয়মিত। তবে বিশেষ ক্লাসের বেতন দিতে পারেনি। সে বেতন মওকুফের আবেদন করলেও মওকুফ করেনি স্কুল কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার বিকেলে নিতু ও তার পরিবারকে ডাকা হয় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে। জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ নিতুর বিস্তারিত কথা শুনে ও তার অতীতের ভালো ফলাফল দেখে আগামী ২০২৩ সালে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের আশ্বাস দেন এবং তার পড়াশোনার খরচের ব্যবস্থা করে দেন।
বক্তব্য জানতে সহকারী প্রধান শিক্ষক লায়লা আক্তারের মোবাইল ফোনে কল দিলে রিসিভ করেননি। ক্ষুদে বার্তা দিলেও সাড়া দেননি।

whatsapp follow image

আরও পড়ুন

×