পাবনার ঈশ্বরদী
বিএসআরআই-এ ডিজি নেই, বেতন বন্ধ
ফাইল ছবি
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১ ডিসেম্বর ২০২২ | ১২:০০ | আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০২২ | ০০:৫৫
দুই মাস ধরে মহাপরিচালক (ডিজি) ছাড়াই চলছে দেশের একমাত্র আখ গবেষণা প্রতিষ্ঠান সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএসআরআই)। জাতীয় এই প্রতিষ্ঠানে ডিজি না থাকায় গবেষণা কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি দুই মাস ধরে বেতন-ভাতা বন্ধ ২০০ বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা, কর্মচারী, শ্রমিকসহ প্রায় সাড়ে ৩০০ জনের।
সূত্র জানায়, ৫ বছর ৮ মাস মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন শেষে গত ২৯ অক্টোবর অবসরে যান ড. আমজাদ হোসেন। এর পর গবেষণা ইনস্টিটিউটের ডিজি পদে কাউকে নিয়োগ বা পদায়ন করা হয়নি। জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী ড. কুয়াশা মাহমুদ মহাপরিচালকের অবর্তমানে নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করলেও আর্থিক বিষয়ে বা প্রশাসনিক কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার তাঁর নেই। ফলে বিএসআরআইর সব ধরনের কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।
ভুক্তভোগীরা জানান, প্রতিষ্ঠানে দুই শতাধিক বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা, কর্মচারী রয়েছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন খামারের কাজে নিয়োজিত ১১৭ শ্রমিক। নিরাপত্তার জন্য আনসার সদস্য রয়েছেন ৩২ জন। এসব কর্মকর্তা-কর্মচারী গত নভেম্বর মাসের বেতন পাননি এখনও। চলতি ডিসেম্বর শেষে তাঁদের দুই মাসের বেতন পাওনা হবে। অন্যদিকে শ্রমিক ও আনসার সদস্যরা অক্টোবর-নভেম্বর মাসের বেতন পাননি। ডিসেম্বর শেষ হলে তাঁদের পাওনা হবে তিন মাসের বেতন।
প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কয়েকজন বলেন, ডিজির স্বাক্ষর ছাড়া অর্থ ছাড়ের কোনো সুযোগ নেই। এ কারণে প্রায় দুই মাস ধরে কর্মকর্তা-কর্মচারী, শ্রমিকরা বেতন-ভাতা কিংবা দৈনন্দিন খরচের টাকা পাচ্ছেন না।
বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও খামার ইনচার্জ সনজিত মণ্ডল বলেন, শ্রমিকরা দুই মাস বেতন পাননি। ডিজির অবসরে যাওয়া ও নতুন ডিজি পদে কাউকে নিয়োগ না দেওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বিএসআরআইর বিভিন্ন খামারে ১১৭ শ্রমিক দিন হাজিরায় কাজ করেন, তাঁরাও মজুরি পাচ্ছেন না।
কবে জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে- এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী ড. কুয়াশা মাহমুদ বলেন, বিষয়টি মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ার।