রেললাইন ধরে হাঁটছিলেন ৩ জন, ট্রেনে কাটা পড়ে গেল প্রাণ
নিহতদের স্বজনদের আহাজারি - সমকাল
নাটোর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ | ০৮:৫১ | আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ | ০৮:৫৫
নাটোরের লালপুর উপজেলায় ট্রেনে কাটা পড়ে নারীসহ তিনজন নিহত হয়েছে। আজ শনিবার বেলা ১২টার দিকে আজিমনগর রেল স্টেশন সংলগ্ন গোপালপুর রেলক্রসিং এলাকায় রেললাইন ধরে হেঁটে যাওয়ার সময় ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে কাটা পড়েন তারা। একই সময়ে অপর লাইন দিয়ে একটি মালবাহী ট্রেন যাচ্ছিল।
নিহতরা হলেন- উপজেলার কেশবপুর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক মনতাজ উদ্দিন (৫৫) ,নারায়ণপুর গ্রামের ফার্নিচার ব্যবসায়ী জমির উদ্দিন (৫৩) ও নারায়ণপুর গ্রামের মেহেদী হাসান মনতাজের স্ত্রী সাথী (৩৫)।
স্থানীয়রা জানায়, বেলা ১২টার দিকে দুই লাইনের একটি দিয়ে একটি মালবাহী যাচ্ছিল। এ সময় তিনজন গোপালপুর রেলক্রসিং এলাকা হয়ে অপর লাইন ধরে হেঁটে নারায়ণপুর গ্রামের দিকে যাচ্ছিলেন। ওই লাইন দিয়ে রাজশাহী থেকে আসা আন্তঃনগর ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে কাটা পড়েন তারা। এতে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।
লালপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইছাহাক আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তিনি বলেন, জনগুরুত্বপূর্ণ এই গোপালপুর (আজিমনগর) স্টেশনে কোনো স্টেশন মাস্টার না থাকায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। কাদিরাবাদ ক্যান্টনমেন্ট ও গোপালপুরে চিনিকলসহ একাধিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। অথচ রেল বিভাগ জনবল সংকটের নামে গোপালপুর স্টেশন থেকে স্টেশন মাস্টারসহ সকল জনবল প্রত্যাহার করে নিয়েছে। জনবল না থাকায় স্টেশন সংলগ্ন রেলক্রসিংয়ে প্রায় সব সময়ই গেইট বন্ধ থাকে। প্রয়োজনে আন্ডারপাস বা ওভার পাস করে সমস্যা সমাধানের দাবি জানান তিনি।
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ারুজ্জামান ট্রেনে কাটা পড়ে তিনজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বিষয়টি ঈশ্বরদী রেলওয়ে থানার পুলিশকে অবগত করা হয়েছে। খবর পাওয়ার পর তারা ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন।
- বিষয় :
- ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু
- ট্রেন দুর্ঘটনা
