ঢাকা মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

চাহিদার অর্ধেক ভোজ্যতেল দেশেই উৎপাদন হবে: কৃষিমন্ত্রী

চাহিদার অর্ধেক ভোজ্যতেল দেশেই উৎপাদন হবে: কৃষিমন্ত্রী

সরিষা ক্ষেত

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ | ১৪:০৩ | আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ | ১৪:০৩

কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আগামী তিন বছরের মধ্যে চাহিদার ৪০ থেকে ৫০ ভাগ ভোজ্যতেল দেশেই উৎপাদন হবে। এ বছর আমরা ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। মাঠপর্যায়ে আমাদের কর্মকর্তা ও টেকনিশিয়ানরা কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছেন।

শনিবার সকালে গাজীপুরের জয়দেবপুরে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে ব্রির বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালা অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী এসব বলেছেন। তিনি বলেন, আগে সবাই মূলত সরিষার তেল খেত। তখন সরিষার ভালো জাত ছিল না, উৎপাদন ছিল না, মানুষ বাড়ছিল। পরে সবাই ধান আবাদে চলে যায়। তখন বেশিরভাগ জমিতে ধান আবাদ হতো। এরপর বিদেশ থেকে সয়াবিন ও পাম অয়েল সস্তায় আমদানি করে তেলের চাহিদা মেটানো হতো। কিন্তু এখন এমন অবস্থা হয়েছে আমরা পুরোপুরি তেল আমদানি নির্ভর হয়ে গেছি।

তিনি আরও বলেন, আশার কথা হচ্ছে, এ সমস্যা সমাধানে দুটি সফলতা এসেছে। স্থানীয়ভাবে ভোজ্যতেল উৎপাদন হবে। বারি ও বিনার বিজ্ঞানীরা অনেক ভালো সরিষার জাত উদ্ভাবন করেছেন। আগে বিঘায় দেড় থেকে দুই মণ সরিষা হতো এখন সেটা ৬ থেকে ৭ মণ হচ্ছে। আগে সরিষা ছিল ছোট ছোট কিন্তু এখন আকারেও বড় হয়েছে। আরেকটি বিষয় হচ্ছে আমনের পরই সরিষা লাগানো হয়।

তিনি বলেন, সাধারণত আমন ধান হয় ১৪০ বা ১৬০ দিনে। এ কারণে সময় বেশি লাগায় কৃষক পরে আর সরিষা লাগাতে চায় না। কিন্তু আমাদের বিজ্ঞানীরা এমন জাত উদ্ভাবন করেছেন যেটা ১১০ বা ১১৫ দিনেই হয়। কাজেই আমন ও বোরো ধানের মধ্যে যে সময়টা সেই সময়ের মধ্যে সরিষা আবাদ করা সম্ভব। ৮০ থেকে ৮৫ দিনের মধ্যে সরিষা এসে যায়। এতে সরিষা তুলে বোরো আবাদ করতে পারেন চাষিরা। কৃষক এ সরিষা থেকে ৩০ বা ৪০ হাজার টাকা আয় করতে পারেন।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. শাহজাহান কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতাক করেন,পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বেনজির আলম প্রমুখ। 

আরও পড়ুন

×