সবুজে সতেজ র্যাংকস

নগরীর দক্ষিণ খুলশীতে র্যাংকস এফসি নির্মাণ করছে ১০তলা বিশিষ্ট নভেরা প্রকল্প -সমকাল
সারোয়ার সুমন
প্রকাশ: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ১৮:০০ | আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ০৮:৩৭
ইট-পাথরের নগরে সতেজ-সবুজ স্থাপনের নান্দনিক এক চ্যালেঞ্জ নিয়েছে র্যাংকস এফসি প্রপার্টিজ লিমিটেড। ভবনের মধ্যেই তারা গড়ে তুলছে ভার্টিক্যাল ফরেস্ট। আধুনিক স্থাপত্য নকশার সঙ্গে প্রতিটি স্থাপনায় সম্মিলন ঘটাচ্ছে তারা সবুজের। বিশেষভাবে তৈরি পাত্রে মাটি, সবুজ গাছ ও লতাপাতা দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি তৈরি করে ভিন্ন ধাচের গ্রিন গার্ডেন ফেন্সটি। এমন নানা ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করে তারা পরিবর্তন আনতে চায় ক্রেতাদের রুচি ও চাহিদাতে। সাধ্যের মধ্যে পছন্দের আবাসনটি নিশ্চিত করতে এসেছে তারা মেলাতেও। নানা রকম ছাড় দিয়ে আকৃষ্ট করছে তারা ক্রেতাও।
র্যাংকস এফসি প্রোপার্টিজ লিমিটেডের সিইও তানভীর শাহরিয়ার রিমন বলেন, 'টেকসই নগরায়নের পাশাপাশি সবুজ আবাসন নিশ্চিত করতে চাই আমরা। র্যাংকস এফসি প্রপার্টিজ লিমিটেড আর্থিক সামর্থের সাথে গ্রাহকদের রুচি ও চাহিদাকে বেশি প্রাধান্য দেয়। যাত্রার শুরু থেকেই ভালো মানের ও রুচিশীল আবাসন নির্মাণে ভূমিকা রাখায় দিন দিন আমাদের উপর গ্রাহকের আস্থা বাড়ছে।'
র্যাংকসের সিইও জানান প্রথমত র্যাংকস এফসির প্রকল্পগুলোর ডিজাইন অন্যদের চেয়ে একেবারেই ব্যতিক্রম। তাদের প্রত্যেকটি ভবনের গ্রাউন্ড ফ্লোরের উচ্চতা ন্যুনতম ১৫-৩০ ফুট। ছোট ছোট খুপরি বারান্দার পরিবর্তে উঠানের মতো বিশাল টেরেস গার্ডেনও থাকে প্রতিটিতে। দ্বিতীয়ত, প্রথাগত ল্যান্ডস্ক্যাপিংয়ের ধারণা ভেঙে দিয়ে বাস্টত্মবিক সমাধানসহ প্রতিটি প্রকল্পে থাকছে ভার্টিক্যাল ফরেষ্ট। তৃতীয়ত, কমিউনিটি ইন্টারেকশনের জন্য ষ্টার লাউঞ্জ, ইকুইপড জিম, হোটেল গ্রেডেড ইনফিনিটি পুল, থিয়েটার, বুক কর্নার র্যাংকস এফসির প্রতিটি প্রকল্পের নিত্য অনুষঙ্গ।
চতুর্থত, র্যাংকস এফসি প্রপার্টিজ লিমিটেড সঠিক সময়ে প্রকল্প নির্মাণ এবং হস্তান্তরে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকে। পঞ্চমত, যে কোনো প্রয়োজনে আমাদের সার্ভিস টিম গ্রাহকদের পাশে থাকে সার্বক্ষণ। এজন্য কোনো টাইম ফ্রেম বেঁধে দেইনা আমরা। র্যাংকস এফসি প্রোপার্টিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফাহিম আহমেদ ফারুক চৌধুরী। তিনি বলেন, 'গত এক বছরে কাঁচামালের দাম যেভাবে বেড়েছে তা পুরো সেক্টরের জন্য ভীষণ চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্যদের তুলনায় আমাদের ভবনগুলোর অবকাঠামো ও ফিনিশিং খরচ এমনিতেই বেশি। নির্মাণসামগ্রীর দাম ৩০ শতাংশ বৃদ্ধির ফলে আমাদের নির্মাণ খরচ বহুলাংশ বেড়ে গেছে।' তিনি জানান, নগরের শেখ মুজিব রোডে নির্মিত হচ্ছে তাদের সর্বাধুনিক বাণিজ্যিক স্থাপনা 'খান প্লাজা'।
শেষ মুহূর্তের ফিনিশিং কাজ চলছে এটির। যেখানে ৩০০০ থেকে ৬০০০ বর্গফুটের বাণিজ্যিক স্পেস রয়েছে। দক্ষিণ খুলশির ১ নং রোডে ১০ তলা বিশিষ্ট নভেরা নামের প্রকল্পে আছে ৯টি ফ্ল্যাট। পাঁচলাইশ, উত্তর খুলশি, কাতালগঞ্জ মেহেদিবাগ, নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটি, জাকির হোসেন রোড, পূর্ব নাসিরাবাদ, ও হালিশহরে চলমান আছে র্যাংকস এফসির প্রজেক্ট। এলাকাভেদে প্রতি বর্গফুট সাত হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।