ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫

দুই উপজেলার ঠেলাঠেলিতে সংস্কার হচ্ছে না ধুমচর সেতু

দুই উপজেলার ঠেলাঠেলিতে সংস্কার হচ্ছে না ধুমচর সেতু

বরিশাল ব্যুরো

প্রকাশ: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ১৮:০০ | আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ১০:৩৮

বরিশাল সদর ও বাবুগঞ্জ উপজেলাকে পৃথককারী ধুমচর খালের সেতুটি দীর্ঘদিন জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। দুই উপজেলার ঠেলাঠেলিতে সেতুটি সংস্কার না হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। এলাকাবাসীর দাবি, সেতুটি সংস্কার বা নতুন করে নির্মাণ না হলে যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

জানা যায়, ধুমচর খালের দক্ষিণ তীরে সদরের চড়বাড়িয়া ও উত্তর তীরে বাবুগঞ্জের চাঁদপাশা ইউনিয়ন। চরবাড়িয়ার আমিরগঞ্জ বাজার সংলগ্ন সেতুটি অবস্থিত। দুই উপজেলার সীমানা হওয়ায় সেতুটি এখন জনদুর্ভোগের বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেতুটি প্রায় পাঁচ বছর ধরে ব্যবহার অনুপযোগী হলেও উপায় না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে চলছে সব ধরনের যানবহন।

সদরের চরবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহতাব হোসেন সুরুজ ও বাবুগঞ্জের চাঁদপাশা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন সমস্যাটি অকপটে স্বীকার করেছেন। তাঁরা বলেন, দুই ইউনিয়নের মাঝে হওয়ায় ধুমচর সেতু সংস্কারের দায়িত্ব নিচ্ছে না কেউ। দুই উপজেলার ঠেলাঠেলিতে নির্মিত হচ্ছে না নতুন সেতু।
বরিশাল নগর থেকে আট কিলোমিটার দূরত্বে আমিরগঞ্জ বাজার। বরিশাল নগর থেকে ধুমচর সেতু দিতে প্রতিদিন শত শত থ্রিহুইলার চলাচল করে।

সরেজমিন দেখা গেছে, লোহার পাতের ওপর স্থাপিত প্রায় ২০০ ফুট দীর্ঘ সেতুর পুরোটাই ঝুঁকিপূর্ণ। দুই পাশে নেই রেলিং। লোহার পাত বেঁকে গিয়ে সেতু উঁচুনিচু হয়ে গেছে। সরু হওয়ায় দুটি থ্রিহুইলার একসঙ্গে সেতু পার হতে পারে না।

টেম্পোচালক জামাল মিয়া বলেন, বরিশাল নগর থেকে ময়দানের হাট রুটে ৫০টির অধিক টেম্পো চলাচল করে। সেতু পার হতে জীবনের ঝুঁকি রয়েছে। আমিরগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী আবদুর রশিদ মিয়া জানান, প্রায় পাঁচ বছর ধরে সেতুটির এই অবস্থা। অসংখ্য থ্রিহুইলার ও মোটরসাইকেল সেতু থেকে খালে পড়েছে।

চাঁদপাশা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী নাসিমা খাতুন জানায়, সেতুর ওপর যানবাহন উঠলে পাশ দিয়ে হাঁটার পথ থাকে না। পথচারীদের সেতুর দুই প্রান্তে অপেক্ষা করতে হয়।

এলজিইডির বাবুগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী শহীদুল ইসলাম জানান, ধুমচর খালের ওপর নতুন একটি সেতু নির্মাণের প্রস্তাবনা এলজিইডির কেন্দ্রীয় দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে অর্থ বরাদ্দ পাওয়া যাবে।

আরও পড়ুন

×