ঢাকা বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

ধর্ষণ মামলায় দুই পলাতক আসামি গ্রেপ্তার

ধর্ষণ মামলায় দুই পলাতক আসামি গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তার গোলাপ হোসেন ও বাবুল তিলক দাস। ছবি-সমকাল

শেরপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫ এপ্রিল ২০২৩ | ২০:১৭ | আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০২৩ | ০৬:০৯

শেরপুরের ঝিনাইগাতী ও নকলা উপজেলায় ধর্ষণ মামলার সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। বুধবার ভোরে গোলাপ হোসেনকে (৪০) ঢাকার আশুলিয়া থানার জামগড়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে ঝিনাইগাতী উপজেলার মধ্য ডেফলাই গ্রামের ছাবেদ আলীর ছেলে। একই সময়ে পৃথক অভিযানে বাবুল তিলক দাসকে (২৬) গাজীপুরের ভোগড়া থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। সে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার নয়নবাড়ি গ্রামের পরেশ তিলক দাসের ছেলে। 

গ্রেপ্তারের বিষয়টি বুধবার দুপুরে শেরপুর প্রেস ক্লাবের সাংবাদিকদের জানায় র‍্যাব। এ সময় উপস্থিত ছিলেন র‍্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুরের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার আশিক উজ্জামান ও  সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার এম এম সবুজ রানা। দুই মামলার বরাত দিয়ে তাঁরা জানান, ২০১৪ সালের ১৮ এপ্রিল সাড়ে ১১ বছর বয়সী এক মেয়েক অপহরণ করে ঢাকার বিমানবন্দর নর্দ্দা এলাকায় ভাড়া বাসায় নিয়ে যায় আসামি গোলাপ হোসেন। কয়েকদিন আটকে রেখে ধর্ষণ করে আসামি। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা ঝিনাইগাতী থানায় মামলা করেন। তখন থেকে পলাতক ছিল সে। পরে আসামিকে আইনের একটি ধারায় যাবজ্জীবন এবং অপরটিতে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।

এ ছাড়া নকলার এক কলেজছাত্রীকে ২০১৯ সালের ২৪ আগস্ট কলেজে যাওয়ার পথে অপহরণ করে বাবুল তিলক দাস। সে নকলা থেকে ছাত্রীকে অটোরিকশায় তুলে গাজীপুর নিয়ে যায়। সেখানে একটি ভাড়া বাসায় রেখে তাকে ধর্ষণ করে। পরে কৌশলে মুক্তি পায় ভুক্তভোগী। এ ঘটনায় তার বাবা নকলা থানায় মামলা করেন। এ মামলায় আসামি তিলক দাসকে আইনের একটি ধারায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং অপর ধারায় ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিল বাবুল তিলক দাস।

whatsapp follow image

আরও পড়ুন

×