বগুড়ায় ধান কেটে দিচ্ছে ছাত্রলীগ

বগুড়ায় দরিদ্র কৃষকের ধান কেটে দিচ্ছেন স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত গাবতলী উপজেলার রামেশ্বরপুর ইউনিয়নে দুই চাষির ২৫ শতক জমির বোরো ধান কেটে দেন তারা। কাটা ধান তাদের বাড়িতেও পৌঁছে দিয়েছেন নেতাকর্মীরা। বিনা মজুরিতে ফসল কাটতে পারায় বেজায় খুশি সংশ্লিষ্ট কৃষকরা।

চলতি বোরো মৌসুমে কৃষকের ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দিতে নেতাকর্মীসহ তরুণ প্রজন্ম, ছাত্র ও যুবসমাজের প্রতি গত সোমবার আহ্বান জানান কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান। তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দরিদ্র কৃষকদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। তারা এ কর্মসূচি শুরু করেন রামেশ্বরপুরের পাঁচকাতুলী গ্রামের কৃষক মাসুদ করিমের ১০ শতক ও একই গ্রামের সাহিদুল ইসলামের ১৫ শতক জমির ধান কেটে ঘরে তুলে দেওয়ার মধ্যে দিয়ে।

কৃষক মাসুদ ও সাহিদুল বলেন, মাঠে পাকা ধান নিয়ে দুশ্চিন্তা হচ্ছিল। কখন ঝড়বৃষ্টি হয় আর ফসল ক্ষেতে নষ্ট হয়ে যায়! শ্রমিকও পাওয়া যাচ্ছিল না। আবার উচ্চ পারিশ্রমিকের কারণে শ্রমিক দিয়ে কেটে নেওয়ার সাধ্যও নেই। এরই মধ্যে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা পাশে দাঁড়ানোয় শঙ্কামুক্ত হয়েছি। 

কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সজীব সাহা ও সাধারণ সম্পাদক আল মাহিদুল ইসলাম জয়। তাদের সঙ্গে কৃষকের ফসল ঘরে তুলে দিতে সহায়তা করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসম্পাদক আহসান হাবীব বাঁধন, জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি শেখ হৃদয় মিঠু, সবুজ বিশ্বাস, সরকারি আজিজুল হক কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি শাহরিয়ার সিয়াম, সাধারণ সম্পাদক সাফিনুর রহমান সাফিন, পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আক্কাস আলী, সাবি আল সাব্বির, ছাত্রলীগ নেতা তন্ময় সাহা, মো. আরিফ, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার সৌরভ, সদস্য সুমন মিয়া প্রমুখ।

ছাত্রলীগ নেতা সজীব ও মাহিদুল বলেন, ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকায় বিপাকে পড়েছেন অসচ্ছল ও দরিদ্র কৃষকরা। তাঁরা শ্রমিক দিয়ে ধান কাটতে না পারায় দুশ্চিন্তায় ছিলেন। তাই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের আহ্বানে সাড়া দিয়ে আমরা ওই চাষিদের পাশে দাঁড়িয়েছি। পুরো বোরো মৌসুমে আমরা এ কর্মসূচি অব্যাহত রাখব। খবর দিলে কোনো মজুরি ছাড়াই দল-মত নির্বিশেষে সবার ধান কেটে ঘরে তুলে দেব আমরা।