মুক্তাগাছায় ছড়িয়ে পড়েছে লাম্পি স্কিন

মুক্তাগাছা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২২ জুন ২০২৩ | ১৬:২২ | আপডেট: ২২ জুন ২০২৩ | ১৬:২২
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় গবাদি পশুতে ছড়িয়ে পড়েছে লাম্পি স্কিন ডিজিজ নামে এক ধরনের ভাইরাস। বেশ কিছু খামারে দেখা দিয়েছে এ রোগ। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন খামারিরা। এ রোগের প্রভাব পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে এবারের কোরবানির হাটে। এমনটাই জানিয়েছেন গরুর খামারিরা।
এদিকে দিন দিন এ রোগ বেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসা সেবা দিতে অনেকটা হিমশিম খাচ্ছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ। তারা বলছে, এ ভাইরাসের সঠিক কোনো প্রতিষেধক এখনও তৈরি হয়নি। তবে যে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে, এটাও চাহিদার তুলনায় অনেক কম।
জানা গেছে, এ উপজেলায় সরকারি হিসাবে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার গরু রয়েছে। খামার রয়েছে প্রায় ৫০০টি। গ্রামের বাড়ি বাড়ি রয়েছে অসংখ্য গবাদি পশু। দুগ্ধ খামার রয়েছে প্রতিটি গ্রামে। দুধের চাহিদা মেটানোর পর দেশের অন্যান্য উপজেলায় যায় মুক্তাগাছার দুধ। কিন্তু মরণব্যাধি ভাইরাস লাম্পি স্কিনের প্রাদুর্ভাবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন খামারের মালিকরা।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, লাম্পি স্কিন আক্রান্ত গরুর তুলনায় ভ্যাকসিনের মজুত রয়েছে অনেক কম। বিপুলসংখ্যক গরুর বিপরীতে এ উপজেলায় ৬৫ হাজার ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। এতে চিকিৎসা সেবা চালিয়ে যেতে হিমশিম খাচ্ছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ।
রৌয়ারচর গ্রামের আব্দুর রহমানের খামারে রয়েছে কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা একাধিক দেশি গরু। এই ঈদে হাটে তোলার কথা ছিল তাঁর গরুগুলো। কিন্তু লাম্পি স্কিন রোগের প্রাদুর্ভাবে তিনি বেকায়দায় পড়েছেন। তিনি বলেন, অনেক স্বপ্ন নিয়ে গরুগুলো এক বছর পালন করেছেন। কিন্তু লাম্পি স্কিন রোগে তাঁর সব স্বপ্ন মাটি হয়ে গেছে।
একই গ্রামের গরুর পাইকার ইসমাঈল হোসেন বলেন, কোরবানির পশুর হাটে লাম্পি স্কিন রোগের প্রভাব পড়বে। অনেক খামারি তাঁদের গরু হাটে তুলতে পারবেন না। এ ছাড়া এ রোগে আক্রান্ত গরু কেউ কিনতে চান না।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা গৌর চন্দ্র সাহা বলেন, মুক্তাগাছায় অসংখ্য গরু লাম্পি স্কিন ডিজিজে আক্রান্ত। এর প্রকৃত কোনো প্রতিষেধক নেই। বসন্ত রোগের ভ্যাকসিন দিয়ে আপাতত চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে চাহিদার তুলনায় ভ্যাকসিন কম পাচ্ছেন বলেও তিনি জানান।
- বিষয় :
- লাম্পি স্কিন
- ময়মনসিংহ
- মুক্তাগাছা