চার ঘণ্টার চেষ্টায় রক্ষা পেল শিশুটির হাত

গাছে হাত আটকে যাওয়ার পর শিশুটিকে উদ্ধারের চেষ্টা করছেন এলাকাবাসাী -সমকাল
মুক্তাগাছা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬ জুলাই ২০২৩ | ১৮:০০ | আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২৩ | ১৬:৫৮
পাখির ছানা ধরতে গিয়ে বটগাছের খোঁড়লে আটকে পড়ে দশ বছর বয়সের মিনহাজ উদ্দিনের ডান হাত। এ খবর শুনে সেখানে ছুটে যান কয়েকশ মানুষ। আসেন দমকল কর্মীরাও। টানা চার ঘণ্টার চেষ্টা মুক্ত হয় আটকে পড়া হাতটি। এ ঘটনাকে অলৌকিক হিসেবে বর্ণনা করছেন অনেকে।
তবে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা বলছেন– অলৌকিক কিছু না, নিছক পাখির ছানা ধরতে গিয়ে বটগাছের খোঁড়লে আটকে গিয়েছিল শিশুর হাতটি। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে মুক্তাগাছা উপজেলায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুল্লা ইউনিয়নের চেচুয়া-বিন্নাকুড়ি সড়কের পাশে চতল গ্রামের ফাঁকা জায়গায় একটি পুরোনো বটগাছ রয়েছে। এ গাছের নিচে সাধারণত মানুষ কম বসে। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে এই গাছের খোঁড়লে পাখির ছানা ধরতে যায় চতল গ্রামের টুক্কু মিয়ার ছেলে মিনহাজ উদ্দিন। পাখির ছানা ধরতে পুরো হাত ঢুকিয়ে দেয় একটি ছোট খোঁড়লে। পরে সেখান থেকে মিনহাজ তার হাত বের করতে পারেনি। তার আহাজারিতে পথচারীরা দৌড়ে আসেন বটগাছের কাছে। তারাও অনেক চেষ্টা করে খোঁড়ল থেকে হাত বের করতে পারেননি। নিরুপায় হয়ে মুক্তাগাছার ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন এলাকাবাসী। তাদের অভিযানে দুপুর ১২টার দিকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার হয় শিশুটির হাত। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে শিশুটি ফিরে গেছে তার পরিবারে।
চতল গ্রামের বাসিন্দা লিয়াকত আলী বলেন, ‘বটগাছটি অনেক পুরোনো। এ গাছ নিয়ে অনেক ইতিহাস আছে। তাই তাদের সন্দেহ– অলৈাকিকভাবে ছেলেটির হাত সেখানে আটকে পড়েছিল।’
উপস্থিত দর্শক বিন্নাকুড়ি গ্রামের আয়নাল হকের ভাষ্য, হাত আটকে পড়া ছেলের বাবা একজন ভ্যানচালক। তিনিও বিভিন্ন গাছে পাখির ছানা ধরতে এই গ্রাম সেই গ্রামে ঘুরে বেড়ান। তাঁর সঙ্গে ছেলেও একই কাজ করে থাকে। পাখির ছানা ধরতে গিয়ে খোঁড়লে ছেলেটির হাত আটকে গিয়েছিল।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মুক্তাগাছা উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ সুশান্ত কুমার দে মন্ডল। তিনি জানান, বটগাছের খোঁড়লে এক শিশুর হাত আটকে আছে– এ খবর পেয়ে সেখানে যান তারা। দীর্ঘ অভিযানে গাছের একটি অংশ কেটে হাতটি উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিছক দুর্ঘটনা।
- বিষয় :
- মুক্তাগাছা
- শিশু