ঢাকা মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫

টাঙ্গাইলে বাঁধ নির্মাণের দাবিতে সড়ক অবরোধ

টাঙ্গাইলে বাঁধ নির্মাণের দাবিতে সড়ক অবরোধ

অবরোধের একপর্যায়ে সড়কে শুয়ে পড়েন বিক্ষোভকারীরা - সমকাল

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৩ | ১৬:৩৯ | আপডেট: ১০ জুলাই ২০২৩ | ১৬:৩৯

টাঙ্গাইলে যমুনা নদীর ভূঞাপুর অংশে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনরোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ভাঙনকবলিত এলাকার মানুষ।

সোমবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপ্রান্তের ভূঞাপুর-এলেঙ্গা আঞ্চলিক মহাসড়কের নিকরাইল ইউনিয়নের মাটিকাটা বাসস্ট্যান্ড মোড়ে এ অবরোধ করা হয়। পরে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে অবরোধটি তুলে নেয় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।

বিক্ষোভে যোগ দেন নিকরাইল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন মণ্ডল ও স্থানীয় কয়েকটি এলাকার ইউপি সদস্যরা। খবর পেয়ে ইউএনও বেলাল হোসেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তিনি ভাঙনকবলিত এলাকায় আরও দ্রুত সময়ের মধ্যে জিও ব্যাগ ফেলার আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেয় তারা। অবরোধের ফলে প্রায় ২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট সৃষ্টি হয়।

উত্তর আটিতাপাড়া গ্রামের সোনা মণ্ডল ও শফিকুল বলেন, গত প্রায় এক মাস থেকে এই এলাকায় ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ভাঙনে তাঁদের বসতভিটা ও ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়েছে। এ এলাকার অসংখ্য পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছে। আপাতত জিওব্যাগ ফেলাসহ এলাকার ভাঙনরোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি জানান তিনি।

নিকরাইল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন মণ্ডল বলেন, প্রতি বছর পাটিতাপাড়া, মাটিকাটা, কোনাবাড়ী, পলশিয়া, দোভায়াসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় তীব্র ভাঙন দেখা যায়। এবারও ব্যাপকহারে নদীর তীর ভাঙছে। এর ফলে বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা হুমকির মুখে পড়েছে। ইতোমধ্যে অসংখ্য ঘরবাড়ি নদীতে চলে গেছে। ভাঙনরোধে দ্রুত সময়ে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা না হলে অচিরেই নদীপারের ওই গ্রামগুলো গিলে ফেলবে যমুনা।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বেলাল হোসেন সমকালকে বলেন, ভাঙনরোধে আরও দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া ও ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিলে তারা অবরোধ তুলে নেন। যারা বসতভিটা ও ঘরবাড়ি হারিয়েছে তাদের তালিকা করে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে। এ ছাড়া বিষয়টি জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন

×