চট্টগ্রাম উপনির্বাচন
ভোটার বাড়ানোর দায়িত্ব প্রার্থীদের, কমিশনের নয়: ইসি আনিছুর

চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান
চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ: ২৩ জুলাই ২০২৩ | ১৩:২৩ | আপডেট: ২৩ জুলাই ২০২৩ | ১৩:২৩
নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর দায়িত্ব প্রার্থীদের, নির্বাচন কমিশনের নয়- এ মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান। তিনি বলেন, ‘ভোটার বাড়াতে প্রার্থীদের প্রচার ও তৎপরতা থাকতে হবে। এজন্য নানা উদ্যোগও নিতে হবে তাদের। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কয়েক মাস বাকি। এর মধ্যেই উপনির্বাচন হচ্ছে। এ কারণে হয়তো ভোটারদের উপস্থিতি একটু কম হচ্ছে। ঢাকা-১৭ আসনে ১১ দশমিক ৫ শতাংশ ভোটার উপস্থিত হয়েছে। তবে ভোটারের উপস্থিতি যাই হোক আমরা তার ভিত্তিতে ফলাফল ঘোষণা করব। অতীতেও করেছি, ভবিষ্যতেও করব।’
রোববার বিকেলে চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। এই উপনির্বাচনের পরিবেশ পরিস্থিতি এখন পর্যন্ত খুবই ভালো। প্রার্থীরা নিজেদের মতো করে সুন্দর ও উৎসবমুখর পরিবেশে প্রচার চালাচ্ছেন। ৩০ জুলাই চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচনে সবকটি কেন্দ্রে কয়েক দিনের মধ্যে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে।’
নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা কোনো অভিযোগ পাইনি। এটি অবশ্যই ইতিবাচক। আমরা মনে করি এই উপনির্বাচন হবে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও উৎসবমুখর। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই সব কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। এক্ষেত্রে সবাইকে সতর্কভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক কর্মসূচির কারণে এক প্রার্থীর প্রধান কার্যালয়ে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে মামলা হয়েছে। বেশ কয়েকজন গ্রেপ্তারও হয়েছে। কোনো ঘটনাকে ছোট করে দেখলে হবে না। কারণ একটি ছোট ঘটনা অনেক সময় বড় ঘটনার জন্ম দিতে পারে।’
নির্বাচনে প্রার্থীদের ওপর হামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সম্প্রতি ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে এক প্রার্থীর ওপর হামলা হয়েছে। এটি নিন্দনীয় কাজ যা অনাকাঙ্খিত। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এসব ঘটনা যারা করে তারা কারও উদ্দেশ্য সফল করার জন্য করে নাকি দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য করে তাও প্রশ্নসাপেক্ষ।
ভোট ডাকাতির সুযোগ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইভিএমে একজনের ভোট আরেকজন দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আগে ভোট ডাকাত নামে একটা শব্দ প্রচলিত ছিল। কিন্তু এখন সেটিও নেই। এখনকার নির্বাচনে ভোটার ছাড়া ভোট কেন্দ্রে অন্য কারও প্রবেশেরও কোনো সুযোগ নেই। কেউ কেন্দ্রে না এসে বাড়িতে বসে অভিযোগ দিলে তো আমাদের কিছুই করার নেই। এখন প্রতিটি কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকে। কেন্দ্রের বাইরের সব দৃশ্যও আমরা সিসিটিভি ক্যামেরায় ভোটের দিন সকাল থেকে পর্যবেক্ষণ করি।
আনিছুর রহমান বলেন, আমরা কিন্তু এখনও কোনো দলকে নিবন্ধন দিইনি। মাঠ পর্যায় থেকে যাবতীয় তথ্য-উপাত্ত নিয়ে আমরা বলেছি, দুটি দল নিবন্ধনের জন্য সব যোগ্যতা অর্জন করেছে কেবল। তাদের বিষয়ে যদি কোনো আপত্তি থাকে তাহলে ২৬ জুলাইয়ের মধ্যে জানাতে বলেছি। এরপরই নিবন্ধনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন।