জাল সনদে চাকরির অভিযোগ
উপাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

আহসান উল্লাহ জুলহাস
জামালপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২৩ | ১৫:৪২ | আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২৩ | ১৫:৪৬
জাল সনদে চাকরির অভিযোগে জামালপুরের দিগপাইত শামছুল হক ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ আহসান উল্লাহ জুলহাসের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সমন্বিত জেলা কার্যালয় জামালপুরের সহকারী পরিচালক অনিক বড়ুয়া বাবু বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে মামলাটি করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় বহুভাষী সাঁটলিপি প্রশিক্ষণ ও গবেষণা একাডেমির (নট্রামস) আওতাভুক্ত কোনো প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ নেননি উপাধ্যক্ষ আহসান উল্লাহ জুলহাস। নট্রামস কর্তৃপক্ষ তাঁর নামে কোনো সনদও ইস্যু করেনি। তা সত্ত্বেও আহসান উল্লাহ নট্রামস কর্তৃপক্ষের ইস্যু দেখানো ‘জাল সনদ’ দিয়ে ২০০৩ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর কলেজটির কম্পিউটার প্রভাষক পদে (বর্তমানে প্রভাষক আইসিটি) যোগদান করেন।
এতে আরও বলা হয়েছে, জাল সনদধারী হয়েও তদবির করে পদোন্নতি নিয়ে কলেজের উপাধ্যক্ষ পদও পেয়েছেন তিনি। পদটিতে বহাল থেকে সরকারি বেতন-ভাতাসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন, যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগটি অনুসন্ধানকালে আহসান উল্লাহর দাখিলকৃত সনদপত্রটির সঠিকতা যাচাইয়ে তৎকালীন নট্রামস বা বর্তমান নেকটারের পরিচালক বরাবর পাঠানো হয়। পরে নেকটার উপ-পরিচালকের প্রতিবেদনে বলা হয়, সনদপত্রটি নট্রামস কর্তৃক ইস্যুকৃত নয়। নেকটার কর্তৃপক্ষ সনদটি জাল বা ভুয়া বলে আখ্যা দেন। দুদক মামলাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে উপাধ্যক্ষ আহসান উল্লাহ জুলহাসের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি পরে কথা বলবেন বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। কলেজের অধ্যক্ষ মহির উদ্দিন তালুকদার বলেন, উপাধ্যক্ষের জাল সনদের বিষয়টি তাঁর জানা ছিল না। এ ব্যাপারে গভর্নিং বডির সভা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় জামালপুরের উপ-পরিচালক মলয় কুমার সাহা বলেন, এলাকাবাসীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুদক তদন্ত করে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পায়। পরে দুদকের প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে মামলা করা হয়েছে। মামলাটি তদন্তে প্রমাণিত হলে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হবে।
- বিষয় :
- জাল সনদে চাকরি
- দুর্নীতি দমন কমিশন
- দুদক