ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪

দুবলার চর-করমজলসহ প্লাবিত সুন্দরবন

দুবলার চর-করমজলসহ প্লাবিত সুন্দরবন

পানিতে তলিয়ে গেছে সুন্দরবন

মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪ আগস্ট ২০২৩ | ০৮:০২ | আপডেট: ০৪ আগস্ট ২০২৩ | ০৮:০২

বৃষ্টি ও পূর্ণিমার প্রভাবে স্বাভাবিকের তুলনায় কয়েক ফুট উচ্চতায় জ্বলোচ্ছাসে প্লাবিত হয়েছে সুন্দরবন। টানা চারদিন ধরে অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের দুবলার চর ও দেশের একমাত্র বন্যপ্রাণী প্রজনন ও পর্যটন কেন্দ্র করমজল। তবে এখন পর্যন্ত বন বিভাগের কোনো স্থাপনায় তেমন ক্ষতি হয়নি। এদিকে নিন্মচাপ, বৃষ্টি ও পূর্ণিমার প্রভাবে মোংলার পশুর নদীতে স্বাভাবিকের তুলনায় দুই ফুট পানি বেড়েছে।

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের জেলে পল্লীর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ জানান, নিম্নচাপ-লঘুচাপের প্রভাবে স্বাভাবিকের তুলনায় সাগরে জোয়ারের পানি অনেকে বেড়েছে। ফলে অস্বাভাবিক জোয়ারে দুবলার চরে ৫-৬ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ভাটা হলে আবার পানি নেমে যাচ্ছে। তবে এ জ্বলোচ্ছাসে দুবলার চরে কোথাও এখনও পর্যন্ত ক্ষতি নজরে আসেনি। 

অস্বাভাবিক জোয়ারে প্লাবিত করমজল এলাকা

এদিকে চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির জানান, চারদিন ধরে অস্বাভাবিক জোয়ারে প্লাবিত হচ্ছে করমজল। করমজলের রাস্তার উপরে দেড় ফুট, আর বনের ভেতরে ৩-৪ফুট উচ্চতার জ্বলোচ্ছাসে প্লাবিত হচ্ছে। পূর্ণিমায় সাধারণত জোয়ারের পানি বেড়ে থাকে। কিন্তু এবার সাগরে নিম্নচাপ-লঘুচাপের প্রভাব আর বৃস্টির কারণে পানির চাপও বেড়েছে। এখন পর্যন্ত করমজলে কুমির, কচ্ছপ, হরিণ ও বানরসহ অন্যান্য প্রাণী নিরাপদে রয়েছে। 

জ্বলোচ্ছ্বাসে দুবলা ও করমজল ছাড়াও প্লাবিত হচ্ছে বিশাল বনাঞ্চল। বন্যপ্রাণীর ক্ষতির আশঙ্কা তেমন একটা নেই বলে জানিয়েছেন সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন। তিনি বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিষয়টি মাথায় রেখেই বনের ভেতরে বিভিন্ন জায়গায় উঁচু টিলা তৈরি করা হয়েছে। পানি বাড়লে বন্যপ্রাণীরা টিলায় আশ্রয় নিতে পারবে। 

পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাগেরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুম বিল্লাহ বলেন, সাগরের নিম্নচাপ-লঘুচাপের প্রভাবে এবং বৃষ্টি ও পূর্ণিমায় মোংলা বন্দরের পশুর নদীর পানি স্বাভাবিকের তুলনায় দুই ফুটের বেশি বেড়েছে। 

whatsapp follow image

আরও পড়ুন

×