ঢাকা বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

তিস্তায় পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে তীব্র হয়েছে ভাঙন

তিস্তায় পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে তীব্র হয়েছে ভাঙন

রাজারহাটে তিস্তার ভাঙন থেকে খিতাবখাঁ গ্রামের বসতবাড়ি রক্ষায় ফেলা হয়েছে বালুর ব্যাগ - সমকাল

রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২০ আগস্ট ২০২৩ | ০৪:৩০ | আপডেট: ২০ আগস্ট ২০২৩ | ০৪:৩৩

কুড়িগ্রামের রাজারহাটে তিস্তা নদীর পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে নদীতে বিলীন হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে খিতাবখাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বর্তমানে মাত্র ৩০ থেকে ৩৫ মিটার ব্যবধান নদী ও বিদ্যালয়টির। মধ্যে রয়েছে একটি রাস্তা ও কিছু গাছপালা। তিস্তার ভাঙন কিছুটা অগ্রসর হলে বিদ্যালয়টি চলে যাবে নদীতে। একই অবস্থা চর খিতাবখাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও গতিয়াশাম কমিউনিটি ক্লিনিকের।

সরেজমিন গেলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, তিন মাস ধরে দফায় দফায় ভাঙছে তিস্তা নদী। এর মধ্যে শুধু খিতাবখাঁ গ্রামেই ইসমাইল হোসেন, রসুল, মোস্তাক, কাঞ্চিয়া, হাসেন আলী, ইউসুফ, দুলালসহ অন্তত ৩০টি পরিবারের ভিটেবাড়ি নদীতে বিলীন হয়েছে। আশপাশের চারটি গ্রামসহ এ সংখ্যা অর্ধশতাধিক। উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের খিতাবখাঁ ও গতিয়াশাম এবং বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের চতুরা, রামহরি ও কালিরহাট গ্রামের শত শত একর ফসলি জমি ও গাছপালা নদীতে চলে গেছে।

বাড়িঘর হারিয়ে অনেকে খোলা স্থানে মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন। অনেকে আবার মাঝেরচর এলাকায় নতুন বসতি স্থাপনের কাজ করছেন। খিতাবখাঁ গ্রামের গৃহহারা আবদুস ছাত্তার (৮০) বলেন, ‘ত্রাণের আশা করি না। সরকারের কাছে হামার দাবি, নদীভাঙন বন্ধে তিস্তা মহাপরিকল্পনাটা বাস্তবায়ন হোক।’ একই গ্রামের ভবেশ চন্দ্রের (৭০) ভাষ্য, গ্রামের তিন-চার কিলোমিটারের মধ্যে স্কুল নেই। খিতাবখাঁ স্কুল নদীতে চলে গেলে গ্রামের ছেলেমেয়েদের পড়ালেখা বন্ধ হবে।

জানা গেছে, অব্যাহত নদীভাঙনে পাঁচটি গ্রামের সহস্রাধিক বসতভিটাসহ কালিরহাট ও বুড়িরহাট বাজার, কালিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খিতাবখাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চর খিতাবখাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গতিয়াশাম কমিউনিটি ক্লিনিক, চারটি মসজিদ, দুটি মন্দিরসহ বিভিন্ন স্থাপনা ও ফসলি জমি ঝুঁকিতে রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মামুন মণ্ডল বলেন, ভাঙন রোধে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা এলাকার হাজার হাজার মানুষের প্রাণের দাবি। কুড়িগ্রাম পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ভাঙন প্রতিরোধে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনাগুলো এখনও টিকে আছে।

আরও পড়ুন

×