ছাত্রীর আপত্তিকর ভিডিও ছড়িয়ে দিল নৈশপ্রহরী

ফাইল ছবি
শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০ আগস্ট ২০২৩ | ১২:৩৯ | আপডেট: ২০ আগস্ট ২০২৩ | ১৫:২২
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে এক কলেজছাত্রীর আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে গোলাম কিবরিয়া নামে এক নৈশপ্রহরীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ছাত্রীর মা বাদী হয়ে গত ১৭ আগস্ট থানায় মামলা করেছেন। এতে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে শাস্তি ও চাকরিচ্যুতির দাবিতে রোববার মানববন্ধন করেছেন স্থানীয়রা।
অভিযুক্ত কিবরিয়া স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী। বিয়ের প্রস্তাবে ব্যর্থ হয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানা গেছে। অভিযোগে জানা গেছে, গত ৫ জুলাই ছাত্রীকে বন্ধুদের সহযোগিতায় অপহরণ করে কিবরিয়া। পরে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক ও ভিডিও করে বিয়ের প্রস্তাবে সম্মতি দিতে চাপ দেয়।
এ ঘটনায় করা মামলায় কিবরিয়ার বন্ধু শাহজান রনি ও আব্দুল্লাহসহ এক নারীকে আসামি করা হয়েছে। পরে রোববার মানববন্ধন থেকে তাকে গ্রেপ্তারসহ চাকরিচ্যুতির দাবি জানান স্থানীয়রা।
ছাত্রীর বাবা বলেন, তাঁর মেয়েকে কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে অপহরণ করে কিবরিয়া ও তার সঙ্গীরা। পরে থানায় অভিযোগ দিলে সাত দিন পর পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে। তখন সামাজিক সম্মানের ভয় দেখিয়ে স্থানীয়রা মামলা করতে নিষেধ করে মুচলেকা নিয়ে কিবরিয়াকে ছেড়ে দেয়।
বাবার অভিযোগ, গত ১৫ আগস্ট তাঁর মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব পাঠায় কিবরিয়া। কিন্তু সম্মত না হওয়ার রাতে বন্ধুদের মাধ্যমে ফেসবুকে আপত্তিকর অবস্থার ভিডিও ছড়িয়ে দেয়। ছাত্রীর মায়ের ভাষ্য, মামলার পর কিবরিয়া ও তার লোকজন হুমকি দিচ্ছে। লোকলজ্জার ভয়ে মেয়ে কলেজে যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য গোলাম কিবরিয়ার মোবাইল ফোনে যোগযোগের চেষ্টা করেও বন্ধ পাওয়া গেছে। তার ভাই বলেন, এমন ঘটনার পর কিবরিয়াকে ভাই বলে পরিচয় দিতে লজ্জা পাচ্ছেন। তিনি তার কঠোর শাস্তির অনুরোধ জানান।
কিবরিয়ার কর্মস্থল বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্তে তাকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। আত্মগোপনে থেকে নৈশপ্রহরী তাঁকেও হুমকি দিচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, অপর এক ছাত্রীকে অপহরণের ঘটনায় ১৪ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়ে জামিনে থেকে চাকরি করছে কিবরিয়া। প্রভাবশালী মহলের ছত্রচ্ছায়ায় বারবার অপকর্ম করেও পার পাচ্ছে।
শ্যামনগর থানার ওসি মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, আদালতে ভুক্তভোগীর জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে। ভিডিও ছড়ানোয় জড়িতদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।