ঢাকা শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

সাভারে শিক্ষকের হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার

সাভারে শিক্ষকের  হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার

গোলাম কিবরিয়া

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ আগস্ট ২০২৩ | ১৮:০০

সাভার পৌর এলাকায় নিজ ঘর থেকে গতকাল রোববার বিকেলে গোলাম কিবরিয়া (৪৩) নামের প্রাক্তন এক স্কুলশিক্ষকের হাত-পা বাঁধা ও গলায় গামছা পেঁচানো লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মরদেহের পাশে চিরকুট পাওয়া গেছে। তাতে লেখা, ‘এই ব্যক্তি নৈতিক স্খলনে জড়িত, পুলিশ ভাই। আমরা তাই মেরে ফেলেছি। সে অবৈধ কাজ করে।’ হত্যাকারীরা নিজেদের ইসলামের সৈনিক বলে দাবি করেছে।

ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান সমকালকে বলেন, চিরকটু কেন, কারা লিখল– তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। সিআইডির বিশেষজ্ঞরা লেখা পরীক্ষা করে দেখবেন।

সাভার মডেল থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা জানান, পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের ভাটপাড়া মহল্লার মৃত শুকুর মুন্সির ছেলে গোলাম কিবরিয়া একসময় সাভার মডেল স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। তিনি শিক্ষার্থীদের ব্যাচ পড়াতেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গোলাম কিবরিয়াকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। তদন্তের সঙ্গে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

জানা গেছে, গোলাম কিবরিয়া শিক্ষকতা ছেড়ে বিভিন্ন স্থানে টিউশনি করতেন। আবার জমি-জমা বেচাকেনার সঙ্গেও জড়িত ছিলেন। শনিবার রাতে টিউশনি শেষে রিকশায় বাসায় ফেরেন কিবরিয়া। স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ায় ভাইদের সঙ্গে বসবাস করতেন। নিজের কক্ষ থেকে বের হতে না দেখে দুপুরে স্বজনরা ডাকাডাকি করতে থাকেন। পরে বিকল্প দরজা দিয়ে তাঁর কক্ষে প্রবেশ করে দেখা যায়, খাটের ওপর লাশ পড়ে আছে। দুই হাত ও দুই পা লুঙ্গি দিয়ে বাঁধা আর গলায় গামছা পেঁচানো। বাসার জিনিসপত্র এলোমেলো।

গোলাম কিবরিয়ার ছোট ভাই আপেল মাহমুদ বলেন, ‘আমার ভাইয়ের পায়ে সমস্যা থাকার কারণে দীর্ঘক্ষণ হাঁটতে পারতেন না। তাই একটি নির্দিষ্ট রিকশাযোগে জায়গায় যাতায়াত করতেন। কে কেন কারা তাঁকে হত্যা করল, এটা জানা নেই।’

চার ভাই ও পাঁচ বোনের মধ্যে গোলাম কিবরিয়া ছিলেন অষ্টম। তাঁর ছোট ভাই আপেল মাহমুদ বলেন, গতকাল দুপুর ১২টার পরও ঘর থেকে বের না হওয়ায় পরিবারের অন্য সদস্যরা কক্ষে ঢুকে মরদেহ দেখতে পান।
গোলাম কিবরিয়ার মরদেহের পাশে পাওয়া চিরকুটে লেখা ছিল, ‘সে অবৈধ কাজ করে, আমরা ইসলামের সৈনিক। আমরা তাই (তাকে) মেরে ফেলেছি।’ তবে পুলিশ তদন্তের স্বার্থে চিরকুটে কী লেখা আছে, তা জানাতে অপারগতা প্রকাশ করে। কিন্তু লাশ উদ্ধারের সময় চিরকুটটি স্থানীয়দের নজরে আসে এবং অনেকেই তা মোবাইলে ছবি তুলেছেন।

ওসি দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা করছে পুলিশ।

আরও পড়ুন

×